পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল: ভারতের জল-কূটনীতির শক্তিশালী মোচড়!

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ মাত্র কিছুক্ষণ আগেই ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে –১৯৬০ সালের ইন্দাস (সিন্ধু) জলচুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন পাকিস্তানের জন্য গভীর বিপর্যয় ডেকে আনবে, অন্যদিকে ভারতের জন্য এটি এক কৌশলগত পালাবদলের সূচনাও।

এই চুক্তির ফলে:

🟢 পাকিস্তান এতদিন ইন্দাস, ঝেলম, চেনাব – এই তিনটি পশ্চিম নদী থেকে বার্ষিক ১৩৫ MAF জল পেত – যা তার মোট জলের ৮০%।

🟢 ৯০% খাদ্য উৎপাদন নির্ভর ছিল এই ইন্দাস নদী উপত্যকার ওপর।

🟢 ৬৫% জনগণ কৃষিনির্ভর — যারা এই নদীগুলোর জলের ওপর নির্ভর করত।

🟢 ইতিমধ্যেই পাকিস্তান জাতিসংঘ অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ জলসংকটাপন্ন দেশগুলোর একটি।

🟢 এই জল সরবরাহে সামান্য ছেদ পড়লেও তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রফতানি নির্ভর অর্থনীতি ধসে পড়তে পারে।

🟢 ডায়ামার-ভাশা ড্যাম এখনো নির্মাণাধীন, এবং ভারত যদি উজানে জল আটকে দেয়, তাহলে পাকিস্তানের ক্ষতি পূরণ অসম্ভব।

ভারতের মাটিতে ইন্দাস চুক্তির বাস্তবতা:

🔴 ভারত পায় রবি, বিয়াস, শতদ্রু – এই তিনটি পূর্ব নদী।

➡️ এদের বার্ষিক সম্মিলিত জলপ্রবাহ প্রায় ৩৩ MAF (~৪০.৭ BCM)

➡️ ভারত ইতিমধ্যেই এর ৯৫% ব্যবহার করছে, এবং ২১.১৯ BCM সংরক্ষণের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

🔴 পশ্চিমের নদীগুলো – ইন্দাস, ঝেলম, চেনাব – থেকে বার্ষিক জলপ্রবাহ ১৩৫ MAF (~১৬৬.৫ BCM)

➡️ কিন্তু এতদিন ভারত কেবল ৩.৬ MAF (~৪.৪ BCM) জল ব্যবহার করত — সেটাও শুধুই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য।

🔴 ইন্দাস চুক্তি ভারতকে নির্দিষ্ট কিছু সীমিত অধিকার দিয়েছিল — যেমন রান-অফ-রিভার প্রকল্প, সীমিত সেচ ইত্যাদি।

কিন্তু বারবার পাকিস্তানের আপত্তি, আন্তর্জাতিক চাপ এবং বিশ্বব্যাংকের হস্তক্ষেপে

ভারতের বহু প্রকল্প বাধার মুখে পড়ে বা আটকে যায়।

চুক্তি বাতিলের তাৎপর্য:

✅ ভারত এখন আর সেই পুরনো “সহনশীল” নীতি মেনে চলবে না —

এখন থেকে ভারত পশ্চিম নদীগুলোর জল সংরক্ষণ, পুনঃব্যবহার ও পরিচালনায় পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে।

✅ পাকিস্তানকে মোকাবিলা করতে হবে এক ভয়াবহ জল-সংকট,

যার সরাসরি প্রভাব পড়বে খাদ্য উৎপাদন, কৃষি, বিদ্যুৎ এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

✅ এটি পাকিস্তানের সন্ত্রাস, কাশ্মীর অপপ্রচার ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত চাপ দেওয়ার জবাব —

বিনা রক্তপাতে কিন্তু গভীর কূটনৈতিক ফলদায়ী।

পাকিস্তানের জন্য ইন্দাস জলচুক্তি ছিল একপ্রকার “জল-অক্সিজেন”,

আর ভারতের জন্য ছিল এক রাজনৈতিক শৃঙ্খল।

আজ সেই শৃঙ্খল ভেঙেছে।

Loading