সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; বাংলা ছাপার অক্ষরের জনক পঞ্চানন কর্মকার, যিনি বাংলা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ১৯শ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলার মুদ্রণ শিল্পের একটি বড় পরিবর্তন আসে এবং এতে পঞ্চানন কর্মকারের অবদান ছিল অপরিসীম। বাংলা ভাষায় বই ছাপানোর জন্য যেসব হরফ প্রয়োজন ছিল, তা তৈরি করতে গিয়ে পঞ্চানন কর্মকারের দক্ষতা এবং উদ্ভাবন বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। পঞ্চানন কর্মকারের জীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য না থাকলেও জানা যায় যে, তিনি হুগলির জিরাট-বলাগড় অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন। তার কর্মজীবনের শুরু ত্রিবেণীতে হলেও পরে তিনি কলকাতার কোম্পানি ছাপাখানায় যোগ দেন এবং শেষপর্যন্ত শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে কাজ শুরু করেন। তার তৈরী করা হরফের সাহায্যেই প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভব হয়।শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগে প্রথম বাংলা গ্রন্থ ছাপানো হয়েছিল এবং এই কাজে পঞ্চানন কর্মকারের হরফ ছিল অপরিহার্য। এর ফলে বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের ভিত্তি স্থাপিত হয় এবং বাংলা ভাষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম সহজেই ছাপানো শুরু হয়। পঞ্চানন কর্মকারের এই অবদান বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ইতিহাসে অমলিন হয়ে থাকবে।এর আগে, বাংলা ভাষার জন্য উপযুক্ত হরফ তৈরি করা ছিল এক অত্যন্ত কঠিন কাজ, তবে পঞ্চানন কর্মকারের উদ্ভাবন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়ে ওঠে। এটি বাংলা ভাষার পাঠকপ্রিয়তা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন এনে দেয়।বাংলা মুদ্রণ শিল্পের এই অগ্রগতি, বিশেষ করে পঞ্চানন কর্মকারের অবদান, তার পরবর্তী প্রজন্মের মুদ্রণ ও প্রকাশন শিল্পের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য