সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম না থাকলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন। কেউ কেউ আবার দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়ে প্রার্থী হন। কিন্তু একেবারে ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল আরামবাগ পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপ্রধান রাজেশ চৌধুরির ক্ষেত্রে। আরামবাগ ব্লকের মধ্যে রাজেশ চৌধুরি অন্যতম দাপুটে তৃণমূল নেতা। একসময় আরামবাগ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। দায়িত্ব সামলেছেন আরামবাগ শহরের যুব সভাপতির। গতবার আরামবাগ পুরসভার উপপুরপ্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন। তারপরেও এবার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। যা দেখে আরামবাগের রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে হতাশ হলেও দলের বিরুদ্ধে তিনি একটা কথাও বলেননি। প্রকাশ্যে কোথাও কোন ক্ষোভ প্রকাশ করতেও তাঁকে দেখা যায়নি। উল্টে দেখা গেল দলের ঘোষিত প্রার্থীদের হয়ে প্রতিদিনই তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি আরামবাগ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা তৃণমূল নেতা তুষার কার্ফার হয়ে প্রচার করতে। এদিনই এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হাসান আলি চৌধুরির হয়ে প্রচার করতে। তবে শুধু এদিনই নয়, প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে তিনি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। কখনও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী যুবনেতা রামপ্রসাদ দোলুইয়ের হয়ে আবার কখনও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সমীর ভান্ডারীকে জেতাতে কোমর বেঁধে প্রচার করছেন। যা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের প্রাথমিক ধারনা ছিল, হয়তো তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন বা অন্য দলে চলে যেতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। এ ব্যাপারে রাজেশ চৌধুরি বলেন, এই মুহূর্তে প্রার্থী হিসেবে যাকে যোগ্য মনে হয়েছে দল তাঁকে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। দলের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে ক্ষোভের কোন প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, আজকে আমার এই যে পরিচিতি তা এই তৃণমূল দল থেকেই। তৃনমূল আমাকে অনেক পরিচিতি দিয়েছে। তাই দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যে যে ওয়ার্ডে আমাকে প্রয়োজন আমি সেখানেই প্রচারে যাচ্ছি। এ নিয়ে আমার কোন ক্ষোভ নেই।