October 6, 2025

প্রত্যাশা মতোই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল,

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: প্রত্যাশা মতোই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল। লোকসভায় গোপন ভোটাভুটিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা বিলটি সমর্থন করেছেন ৪৫৪ জন সাংসদ। বিলে সংশোধন চেয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মাত্র দু’জন।এবার এই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। লোকসভায় যেভাবে বিরোধীরা বিলটির পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে রাজ্যসভাতেও এটি পাশ হয়ে যাওয়ার সম্যক সম্ভাবনা ছিল। বাস্তবে হলেও তাই সমস্ত সদস্যই বিলের পক্ষে ভোটদান করেন। বিরুদ্ধে একটি ভোটও পড়েনি। বিলটি পাশ হলে দেশের সব বিধানসভা এবং লোকসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের জন্য মঙ্গলবার পুরোদস্তুর নতুন বিল পেশ করেছিল মোদি সরকার। যার পোশাকি নাম, ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল হিসাবে তা লোকসভায় পেশ করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে অবশেষে সংসদের দুই কক্ষ স্বীকৃতি দিল মহিলা সংরক্ষণের দাবিকে। এর পর প্রথামাফিক বিলটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র পেলে কার্যকর হবে মহিলাদের জন্য লোকসভা-বিধানসভায় আসন সংরক্ষণ।বিল নিয়ে চাপানউতরের আবহে,লোকসভায় মহিলা বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সোনিয়া তাঁর বক্তৃতায় মনে করিয়ে দেন, ২০১০ সালে তিনি ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোটের চেয়ারপার্সন থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি-সহ সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সাংসদেরা বিতর্কে অংশ নেন।সংসদে নিজের ভাষণে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করার পাশাপাশি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি এসসি, এসটি, ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলা জনপ্রতিনিধিদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের দাবি জানান। বুধবার নিজের ভাষণে সোনিয়া দাবি করেন, অবিলম্বে এই বিল পাশ জরুরি। দেরি মানেই ভারতের মেয়েদের সঙ্গে অবিচার। এইসঙ্গে তপসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণেরও দাবি জানান ।

Loading