October 6, 2025

স্টেশনে কুলির কাজ এবং ফ্রি Wifi-এ পড়াশোনা করে সফল IAS অফিসার

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: কোথায় আছো না, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় সেখানে হোক না অতিক্রম করার দূরত্বটা অসীম সীমানা। অদম্য জেদ ও হার না মানা মনোভাব। এই দু’য়ের উপর ভিত্তি করেই ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসে বাজিমাৎ। বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় আইএএস অফিসার হয়ে গেলেন স্টেশনে রাত কাটানো যুবক! কেরালার কে শ্রীনাথের সাফল্যের গল্পটা কোনও রূপকথার চেয়ে কম নয়। কোচিং ক্লাস বা আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষার হার্ডেল পেয়েছেন তিনি। যা রাতারাতি খবরের শিরোনামে এনে দিয়েছে তাঁকে। বর্তমানে দক্ষিণী রাজ্যটির অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি। কুলি থেকে আইএএস অফিসার হয়ে যাওয়া শ্রীনাথের বাড়ি কেরালার মুন্নারে। ছোট থেকেই প্রবল দারিদ্রের মধ্যে কেটেছে তাঁর জীবন। স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এর্নাকুলাম স্টেশনে মালবাহকের চাকরি নেন তিনি। হাড়ভাঙা খাটুনির সেই কাজে দিনের শেষে মিলত 400 থেকে 500 টাকা। শ্রীনাথের পরিবারের তখন নুন আনত পান্তা ফুরোয় দশা। পুরো সংসারের ভার এসে পড়েছে তাঁর কাঁধে। বাধ্য হয়ে দিনে দু’শিফটে করতে হচ্ছে কাজ। কারণ পরিবারের মধ্য়ে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন শ্রীনাথই। প্ল্যাটফর্মে কুলিগিরি করায় ধীরে ধীরে প্রথাগত শিক্ষার থেকে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। এই অবস্থায় পরিত্রাতার ভূমিকা নয় একটা স্মার্ট ফোন। অতিরিক্ত কাজের অর্ডার পেতে খুব কষ্ট করে যা কিনে নেন শ্রীনাথ। ব্যবহার করা শুরু করেন স্টেশনের ওয়াইফাই। ফলে তাঁর সামনে খুলে যায় নিখরচায় পড়াশোনার দরজা। অডিও বুক ও অনলাইন লেকচারের ভিডিয়ো ডাউনলোড করা শুরু করেন শ্রীনাথ। এভাবে এক বছর চলার পর প্রথমে কেরালা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেন শ্রীনাথ। প্রথমবারের চেষ্টাতেই সেখানে সাফল্য পান তিনি। কিন্তু পাখির চোখ ছিল ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস। এবার তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেন তিনি।পরিবার সূত্রে খবর, আইএএস হতে মোট চারবার ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাঁকে। চতুর্থবারে প্রচেষ্টায় সাফল্য পান তিনি।

Loading