October 5, 2025

আন্টার্টিকায় নতুন ডাকঘর খোলা হয়েছে, ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : আন্টার্টিকায় ভারতের পক্ষ থেকে চার দশক পর নতুন ডাকঘর খোলা হলো। সেখানে চিঠি পাঠানোর নতুন পিন কোড রাখা হয়েছে MH-1718। আন্টার্টিকায় নতুন এই ডাকঘরটি খোলা হয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে। নতুন এই পিন কোডটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৮৪ সালের পর ভারতের পক্ষ থেকে প্রথম ডাকঘর খোলা হল আন্টার্টিকায়। গবেষণা চালানোর জন্য আন্টার্টিকায় তৈরি করা হয় ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ গবেষণা কেন্দ্র। ডাকঘরটি সেখানেই খোলা হয়। প্রথম বছরই ওই ডাকঘরে পৌঁছায় দশ হাজারের বেশি চিঠি। বিজ্ঞানপ্রেমী, সমাজসেবী যে সকল মানুষের চিঠি লেখার শখ রয়েছে তারা সেখানে চিঠি পাঠান। তবে ওই গবেষণা কেন্দ্রটি বরফের নিচে চাপা পড়ে যায় ১৯৮৮-‘৮৯ সালে। এরপর ভারতের পক্ষ থেকে আন্টার্টিকায় ফের ডাকঘর খোলা হয় ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি। ‘মৈত্রী এ কেন্দ্রে’ এই ডাকঘর খোলা হয়েছিল। আজও সেখানে চিঠি, পোস্টকার্ড পৌঁছাচ্ছে সাদা খামে করে। আন্টার্কটিকায় ভারতের ‘ভারতী গবেষণা কেন্দ্র স্টেশনে’ এবার খোলা হল নতুন ডাকঘর। আন্টার্টিকায় ভারতের দুই ডাকঘর ‘মৈত্রী’ এবং ‘ভারতী’-এর মধ্যে রয়েছে তিন হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব। গোয়া ডাক বিভাগের শাখা এই দুটি ডাকঘরই। ভারতীয় ডাক বিভাগ জানাচ্ছে, আন্টার্টিকায় টিকিট পাঠানোর মানে গোয়ায় ভারতের মেরু অভিযান সংস্থার নোডাল সংস্থাদ ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (NCPOR)-এ সেগুলি যাতে পৌঁছায়।

Loading