সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ৬০ মিলিয়ন বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের অবশেষ থেকে এই দ্বীপের সৃষ্টি। এখানে বসবাসকারী মানুষ জাতিতে নর্স ও কেল্টীয়। শুরুর দিকে মূলত নরওয়েজীয় নাবিক ও অভিযানকারীরা এখানে বসবাস করত। এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই বিস্ময়কর যে মনে হবে আপনি আসলে অন্য কোনো গ্রহে চলে এসেছেন।
সবুজ মাঠের পাশে হলুদাভ সমুদ্র, কালো রঙের সমুদ্রসৈকত আর নীল সাগর—কী ভাবছেন, এ আবার কোন জায়গা? অথচ এর অবস্থান কিন্তু ভিনগ্রহে নয়, আমাদের পৃথিবীতেই। এই জায়গার নাম ‘আইসল্যান্ড’। এখানে এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ সমুদ্রসৈকত আছে, যা ধারণাকেই বদলে দেবে।
আইসল্যান্ডের ‘ভাটনাজোকুল জাতীয় উদ্যানে’ অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকতের নাম ‘স্কেফটফেল’। মূলত এখানে এখনো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থাকায় এমন অপার্থিব রঙের সমন্বয় দেখা যায়। এখানে রয়েছে সবুজ ভূমি, কালো সৈকত, হলুদ নদী আর নীল সাগর।এ এক বিস্ময়কর সমুদ্রসৈকত, যেখান গেলে বড় বড় হিরার টুকরাসদৃশ স্ফটিক দেখা যায়। ‘ইউকুলসারলোন গ্লাসিয়ার লেগুন’, যেখানে আটলান্টিক মহাসাগরের বরফের স্ফটিক পাথরগুলো ঢেউয়ের সঙ্গে বালুতটে আছড়ে পড়ে এক অপূর্ব দৃশ্যপটের সৃষ্টি করে।এগুলো যখন আবার ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ফিরে যায়, আবার জলে পরিণত হয়। এমনকি গ্রীষ্মের সময় যখন ঝকঝকে সূর্যের আলোয় কালো সমুদ্রসৈকতে বরফের এই স্ফটিকে আলোর ছটা পড়ে, রংধনুর সাত রং ছড়িয়ে পড়ে।এক অদ্ভুত সুন্দর সমুদ্রসৈকত, যার বালুতট কালো রঙের। আছে রহস্যময় পাথর, যা আপনাকে মুহূর্তে আদিম কোনো সভ্যতায় হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেবে। সৈকতজুড়ে আছে কালো পাথর। এখানে এক একটা ঢেউ মানুষের সমান উচ্চতায় আছড়ে পড়ে বালুতটে। এই জন্য খুব গভীরে যাওয়া নিষেধ। এর অবস্থান আইসল্যান্ডের পশ্চিমে।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন