October 6, 2025

মহাকাশকে ছবিতে পরিষ্কার মনে হলোও মহাজাগতিক ধূলিকণায় আবদ্ধ মহাকাশ

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: কখনও কি মনে প্রশ্ন জাগে, মহাকাশে ধুলো কোথা থেকে এল এবং এটাকে আদৌ ধুলো বলে কি? প্রকৃতপক্ষে, বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এগুলি কোনও সাধারণ ধূলিকণা নয় বরং মহাজাগতিক ধূলিকণা। যাদের কিছুভাবেই দেখতে পাওয়া যায় না। মহাকাশ থেকে আনা যে কোনও তথ্যেই এই ধুলো দেখা যায়। এমনকী সেই সব ধুলো মহাকাশে অবিচারে এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বেরায়। কারণ এর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের অনেক রহস্যের সন্ধান পান। মহাজাগতিক ধূলিকণা সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাও করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক ধূলিকণা খুব সূক্ষ্ম। তাদের আকার প্রায় 80 মাইক্রোমিটার। অর্থাত্‍ এগুলো মানুষের চুলের চেয়েও ছোট। এই ধূলিকণাগুলো আসে গ্রহাণু, ধূমকেতু থেকে। বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকাশের ধুলোর বেশির ভাগই আসে নক্ষত্রদের থেকে। অর্থাত্‍ যখন একটি তারা খসে পড়ে বা একটি নতুন তারার জন্ম হয়, তখন এটি প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা তৈরি করে। অনেক সময় এই ধুলার সঙ্গে অনেক ধরনের গ্যাস থাকে। স্পেস এজেন্সিগুলো প্রায়ই এগুলোর ছবি শেয়ার করে, যা ধুলো এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি। এছাড়া মহাকাশে ধূলিকণার মেঘও তৈরি হয়। আর মহাকাশে ধূলিকণার মেঘ হল মহাবিশ্বের আকর্ষণীয় এবং রহস্যময় বৈশিষ্ট্য। এই মেঘগুলি ক্ষুদ্র কণা, অণু এবং বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়।

Loading