সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিশ্বের হ্রদ বা লেকের কথা যদি বলা হয় আপনি ভেবেই নেবেন সে তো প্রচুর রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে এই হ্রদটিকে পৃথিবীর অন্যতম বিপদজনক হ্রদ বললে ভুল হবে না। বিশ্বের অনেক হ্রদ বা লেক তাদের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং মানুষ সেগুলো দেখতে খুব পছন্দ করে। পড়ন্ত একটা বিকেলে লেকের পাশে হাওয়ায় বসে থাকার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু তানজানিয়ায় এমন একটি রহস্যময় হ্রদ রয়েছে যেখানে কেউ যেতে চাইবে না। এই হ্রদটি উত্তর তানজানিয়ায় এবং এর নাম ন্যাট্রন লেক। ন্যাট্রন লেক তানজানিয়ার আরুশা এলাকায় যেখানে জনসংখ্যা নেই বললেই চলে। রহস্যময় এই হ্রদ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কাহিনি। হ্রদ সম্পর্কে বলা হয় যে, এর জল স্পর্শ করলে জিনিসগুলি পাথরে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে, এই হ্রদের কাছে প্রচুর সংখ্যক প্রাণী এবং পাখির মূর্তি দেখা যায়, যার কারণে এটিকে একটি জাদুকরী এবং রহস্যময় হ্রদ বলা হয়। হ্রদের জলে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। আসলে হ্রদকে জাদুকরী হওয়ার ভ্রম তৈরি হয় এর জলের কারণে। এই জলে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি এবং একই সঙ্গে এটি অ্যামোনিয়ার সমান ক্ষারীয়। এটি প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে, যার কারণে বহু বছর ধরে পশু-পাখির দেহ নিরাপদ থাকে। ন্যাট্রন লেকের রহস্য জানতে, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার নিক ব্র্যান্ডিট সেখানে গিয়েছিলেন। নিক লেকের অনেক ছবিও তুলেছেন। ভ্রমণের পরে, নিক ‘অ্যাক্রোস দ্য রেভেজড ল্যান্ড’ নামে একটি বই লিখেছিলেন যাতে, তিনি হ্রদের রহস্য সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছেন, তবে নিকও প্রকাশ করতে পারেননি কীভাবে হ্রদের কাছে পাথরের উপর বসবাসকারী এই পাখিগুলি মারা গেল। পাখির মৃত্যু নিয়ে লাইভ সায়েন্সে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে এই সম্পর্কিত তথ্য জানানো হয়েছিল। এই জলে পড়ে গেলে চামড়া শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে সোডা আর নুন। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবণ আর সোডা। যা পরবর্তীতে চুনাপাথরে পরিণত হয়।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু