October 5, 2025

লাল লিপস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা কেনো উত্তর কোরিয়ায়? জানলে অবাক হবেন

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের অধীনে এখানে সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্র চলে। তাই তার নিয়ম, নীতি মেনে চলাটাও বড় কঠিন তবুও বাধ্যতামূলক। লাল গাঢ় ঠোঁটের মোহ কে না ভালবাসে? ঠেলর সুইফ্ট থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সকলেই আপামর বিশ্বের মন জয় করেছে লাল ঠোঠের মোহময় আবেদনে। যে কোনো দেশের যো কোনো বয়সী মহিলার পছন্দের লিপিস্টিকের শেড এককথায় চোখ বন্ধ করে লাল। তবে উত্তর কোরিয়ায় এর ঠিক উল্টো ছবি। সেখানে লাল রঙের লিপিস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উত্তর কোরিয়া বরাবরই কিম জন উনের প্রণয়ন করা উদ্ভট আইনের জন্য পরিচিত। এশিয়ার এই দেশটিতে তাদের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের একচ্ছত্র একনায়কত্ব চলে। বিভিন্ন রকমের উদ্ভট নিয়ম আরোপ করেছেন যা মেনে চলা এককথায় অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সেদেশে থাকতে গেলে সেইসব উদ্ভট আইন মানতে হবে। নানাবিধ উদ্ভট আইনের মধ্যে ফ্যাশন সম্পর্কিত আইনও রয়েছে। সেখানকার লোকেরা যদি ফ্যাশন আইনগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বের বেশিরভাগ জনপ্রিয় ফ্যাশন এবং প্রসাধনী ব্র্যান্ড নিষিদ্ধ। বিশে, করে লাল রঙের লিপস্টক ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কেন লাল লিপস্টিক ব্যবহার অপরাধ উত্তর কোরিয়ায়? উত্তর কোরিয়ায় লাল লিপস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা শুধু ফ্যাশন নিয়ম নয়। এই আইনটি স্বৈরশাসকের আদর্শের গভীরে প্রোথিত। আসলে লাল রঙ প্রায়শই মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, এটা বিশ্বাস করা হয় যে লাল লিপস্টিক পরা নারীদের আকর্ষণীয় দেখায় যা দেশে নৈতিক অবক্ষয় ঘটাতে পারে। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সরকার নারীদের মেকআপ পরীক্ষা করার জন্য অনেক লোককে নিয়োগ করেছে। ব্যক্তিগত ফ্যাশন সম্পর্কিত আইনগুলি যাতে অনুসরণ করা হয় তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কৌশলও ব্যবহার করে। কর্তৃপক্ষ রুটিন চেক পরিচালনা করেএবং কেউ যদি নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। সেখানকার সরকার বিশ্বাস করে যে জনগণের উপর তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে এবং বহিরাগত প্রভাব ঠেকাতে এই ধরণের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Loading