সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: আজ পরমেশ্বর ভগবান শ্রী জগন্নাথ দেবের পবিত্র স্নান যাত্রা।
স্নানযাত্রা কি?
জৈষ্ঠ্য পূর্ণিমার মহেন্দ্রক্ষনে জগন্নাথকে স্নান করানোর যে আয়োজন সেটিই হচ্ছে স্নানযাত্রা। স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদুম্ন যখন জগন্নাথদেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন তখন থেকেই শুরু হয় এই স্নান যাত্রা উৎসব। অর্থাৎ এই দিনটিকে জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয় সমগ্র পুরীধামে। এই কারনে দেবস্নানা পূর্ণিমার পূর্ণময় তিথি এবং স্নানযাত্রা উৎসব প্রভু জগন্নাথের সকল ভক্ত তথা বৈষ্ণবদের জন্য এটি অত্যন্ত শুভ দিন। এদিন জগন্নাথ দেবের দর্শন করলে সমস্ত পাপ বিনাশ করেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণই পুরীতে জগন্নাথ বা দারুব্রহ্ম রূপে অবস্থান করেন।
জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের এই স্নান যাত্রা পালিত হয়ে থাকে। ঐতিহ্যবাহী এই উতসবকে ঘিরে সেজে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এ রাজ্যেও, হুগলির মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ,ইসকন মন্দির সহ বিভিন্ন স্থানে জগন্নাথ মন্দিরে স্নান যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে।এই উপলক্ষে সকাল থেকেই পুরি ও অন্যান্য মন্দিরে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে। উল্লেখ্য, স্নান যাত্রা উপলক্ষে আজ জগন্নাথ দেব,বলরাম ও সুভদ্রা কে মূল মন্দির থেকে বাইরে নিয়ে আসা হবে পবিত্র স্নান স্থলে। তিন বিগ্রহ কেই ঘড়া ঘড়া জল ও দুধ দিয়ে স্নান করানোর পর আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে।এরপর প্রথা অনুসারে এক পক্ষকাল জগন্নাথ দেব দর্শন বন্ধ রাখা হবে। পক্ষকাল পর আগামী ৭ জুলাই হবে রথযাত্রা। জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা, সুসজ্জিত রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর