সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: গরমের সময় ছোট থেকে বড়, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ঘামাচির সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকদের ভাষার এর নাম মিলিয়ারিয়া। গরমের তাপে অনেকের ত্বক লাল হয়ে যায়, ফুসকুড়ি দেখা দেয় যা ঘামাচি পরিচিত। এতে প্রচণ্ড চুলকানি হয়, জ্বালাভাব অনুভব হয়। পিঠে, বুকে, কপাল, গলায় এবং ঘাড়ে বেশি দেখা যায়। শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঘামাচি হয়।
ঘামাচি প্রতিরোধ কি ভাবে করবেন –
গরমে ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরতে হবে। বেশি ডার্ক রঙের জামাকাপড়, টাইট জামা পড়া এড়িয়ে চলুন। যাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘামে ভেজা জামা বদলে ফেলুন। নরম কাপড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিতে হবে। প্রতিদিন স্নান করতে হবে। তাপমাত্রা বেশি থাকলে দিনে দুইবার স্নান করতে হবে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলেই স্নান করা ভালো। শরীর সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। মাথায় চুলের গোড়ায় যদি ঘাম বেশি হয় তাহলে সময়ে সময়ে চুলে শ্যাম্পু করতে হবে, যাতে ইনফেকশন না হয়। গরমে বাচ্চাদের ডায়াপার না পরানোই ভালো, এতে ঘামাচি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও, যথাসম্ভব গরম এড়িয়ে চলতে হবে। এমন কিছু উপাদান,যা ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যেমন- ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে ওইস্থানে বরফ ঘষুন। নিমপাতার পেস্ট শরীরে লাগিয়ে তা সম্পূর্ণ শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ৪/৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল ২/৩ টেবিল চামচ ও জল পরিমাণ মত নিয়ে ঘামাচির জায়গায় এই পেস্ট ২/৩ ঘণ্টা রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে কয়েক দিনের মধ্যে ঘামচি ভালো হয়ে যাবে। স্নানের বালতিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণু কম হবে। খাবার পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে ফল আর শাক-সবজি। প্রচুর পরিমাণে জল খান।
More Stories
আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কখন আতঙ্কিত, জেনে নিন
থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
সস্তা খাদ্যের ফাঁদে স্বাস্থ্যব্যবসা: ভোক্তার অসচেতনতা থেকে কর্পোরেটের মুনাফা