সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। এবার সেই প্রকল্পের অন্তর্গত জয়রামবাটী স্টেশনের উদ্বোধন আগামী ১১ ডিসেম্বর করার জন্য রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব–এর কাছে আবেদন জানাল “কামারপুকুর রেল চাই পক্ষ” নামে এক নাগরিক সংগঠন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে আবেদনকারী রাকেশ মালিক উল্লেখ করেছেন, “এই প্রকল্পটি বহুদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ সম্পন্ন হলেও পুরো প্রকল্পের সুফল এখনো এলাকাবাসী পাননি।” তিনি জানান, তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর ৮২.৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। তারকেশ্বর–গোঘাট অংশের (৩২.৮৫ কিমি) উদ্বোধন হয় ২০১৬ সালের ৬ মার্চ, ময়নাপুর–বিষ্ণুপুর অংশ (২২.৬৮ কিমি) চালু হয় ২০১২ সালে, আর গোঘাট–কামারপুকুর (৫.৫০ কিমি) অংশ সম্পূর্ণ হয় ২০১৮ সালে। বাকি জয়রামবাটি –ময়নাপুর (১৪.৬২ কিমি) অংশের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
রেল নিরাপত্তা কমিশনের (CRS) পরিদর্শনও শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৭ মার্চ। ফলে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা মাত্র। রাকেশবাবু জানান, “এই রেললাইন যুক্ত করবে রাজ্যের চারটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান—তারকেশ্বর, কামারপুকুর, জয়রামবাটি ও বিষ্ণুপুর কে।”
তিনি আরও বলেন, ১১ ডিসেম্বর মা সারদা দেবীর পবিত্র জন্মতিথি। এই শুভ দিনে জয়রামবটি স্টেশনের উদ্বোধন হলে তা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।আবেদনপত্রে রেলমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করতে।
উল্লেখ্য, কামারপুকুর হল শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মস্থান, আর জয়রামবটি মা সারদা দেবীর পুণ্যভূমি। প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত এই স্থান দুটি পরিদর্শন করেন। ফলে এই রেলপথ চালু হলে ধর্মীয় পর্যটন যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আশপাশের অঞ্চল উপকৃত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

More Stories
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক
প্লাবনের আশঙ্কা ও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস: রাজ্য সরকারের সতর্কবার্তা