সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; লক্ষ্মী পূজার পবিত্র দিনে আজ পৌঁছে যাবেন তিন কলকাতাবাসী বাঁকুড়ার বিখ্যাত জয়পুর জঙ্গলে। কংক্রিটের শহর, ধোঁয়া-ধুলোর দূষিত পরিবেশ ছেড়ে তাঁরা ছুটে এসেছেন লাল মাটির দেশে, সবুজের টানে।
গতকাল বেলঘরিয়া থেকে গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় সাইকেলে যাত্রা শুরু করেন তিন অভিযাত্রী—দেব দত্ত ভট্টাচার্য (২৪), হিমাদ্রি (৫২) এবং তাপস শিকারি (৩৪)। তাঁদের এই যাত্রা শুধুমাত্র ভ্রমণ নয়, এক ধরনের মানসিক মুক্তি—প্রকৃতির কোলে নিজেকে নতুন করে খুঁজে নেওয়া।
তাঁদের পথচলা শুরু হয়েছে কলকাতা থেকে। সেখান থেকে আরামবাগ হয়ে আর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পৌঁছাবেন বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে। এরপর তাঁরা যাবেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, বিষ্ণুপুর শহর ঘুরে দেখার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা ঘুরে আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন। এই দীর্ঘ সাইকেলযাত্রার উদ্দেশ্য, প্রকৃতিকে কাছ থেকে অনুভব করা, প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করা।
দেব দত্তের কথায়, “যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে আমরা এই যাত্রায় নেমেছি। প্রকৃতির সৌন্দর্যকে সাইকেলের চাকার ঘূর্ণিতে নতুন করে দেখতে চাই।”
বর্তমান সময়ে যখন স্বল্প দূরত্বেও মানুষ বাইক বা চারচাকা ব্যবহার করছে, তখন এই তিন সাইকেল আরোহীর যাত্রা এক অভিনব বার্তা দেয়—মানসিক দৃঢ়তা ও পরিবেশ সচেতনতার এক সুন্দর মেলবন্ধন।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর তার ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির মন্দির, মল্ল রাজাদের স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। গরবেতা অঞ্চলেও আছে প্রাচীন মন্দির, জাগ্রত সর্বমঙ্গলা মন্দির, আর আছে বাংলার গর্ব “গনগনি”—যাকে বলা হয় ‘বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’।
সবুজের আহ্বানে এই তিন সাইকেল আরোহীর যাত্রা যেন এক নীরব বার্তা—
প্রকৃতির কাছেই ফিরে যেতে হবে, কারণ সেখানেই জীবনের সত্য সুর। 🚴♂️🌿
More Stories
সুন্দরবনে পাখির সংখ্যা ৩১ হাজার ৮২৭, বনদপ্তরের সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা হাতি ও দুই শাবকের
উস্রি নদীর ঝর্ণায় ভরা বর্ষার ভয়ানক রূপে মোহিত পর্যটকরা