সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ সম্প্রতি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেনি বলে সমালোচনা হচ্ছে। এটি দেশটিতে ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের একটি উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় মৌলবাদ ও উগ্র চিন্তাধারার বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বিভাজন এবং আদর্শিক সংঘাতের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। কিছু গোষ্ঠী পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের স্বপ্ন দেখছে—যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় (ভারত) এবং র’ (গবেষণা ও বিশ্লেষণ উইং)-এর প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করা হয়। যদি কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে ভারতকে “সামরিক পদক্ষেপ”-এর কথাও ভাবতে হবে—এমন মত কিছু মহল থেকে। রাশিয়া যেমন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি রোধে সামরিক ব্যবস্থা নিয়েছিল, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ভারতকে স্পষ্ট নীতিতে থাকতে হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিকে জয়ী করা প্রয়োজন। তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভারতের উচিত বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা, কিন্তু একই সাথে নিজের নিরাপত্তা হুমকির প্রতি সজাগ থাকা।
![]()

More Stories
‘ইতিহাস বইয়ে আকবর-ঔরঙ্গজেব, দেশের আসল নায়করাই ব্রাত্য’, সিলেবাস বদলের দাবি অক্ষয়ের?
বঙ্গোপসাগরের আকাশে ১৪,০০০ কিমি নো–ফ্লাই জোন ঘোষণায় ভারতের নিরাপত্তা কৌশলে নতুন অধ্যায়
বিহারে মাতৃদুগ্ধে ইউরেনিয়াম—চমকে দিল গবেষণাবিশেষজ্ঞদের সতর্কতা: দূষণ পৌঁছে গেছে বিপজ্জনক পর্যায়ে