October 5, 2025

কোনও এক সদ্য বিবাহিতা মেয়ে

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ মাকে সবসময় মাছের মধ্যে খেতে দেখতাম লেজের পিসটা। সে বলত ঐটা তার প্রিয়। ভাবতাম এত কাটার দিকটা কিভাবে একটা মানুষের প্রিয় হয়। আর মুরগির মধ্যে তার নাকি গলা মাথা আর পা পছন্দ।

সে ভুল ভেঙ্গে গেলো আমার বিয়ের পর।

পারিবারিক ভাবে যৌথ পরিবারে বিয়ে হলো আমার। ৯ জনের পরিবারে সবাই নতুন। স্বামীও অপরিচিত। বিয়ের পরদিন যখন খেতে বসবো তখন শ্বাশুড়ী বলল – তুমি পরে খাও। আগে পুরুষ বেটারা খেয়ে নিক।

তখন সবাই খেতে বসার আগে আমার শ্বাশুড়ী বলল – মাছের মাথাটা তোমার শ্বশুর খায়। তার ঐটা পছন্দ। পেটি দুটো দুই মেয়ে (আমার ননদ) পছন্দ করে। কাঁটা কম তো তাই। ঘাড়ের পাশটা বাবুরে (আমার বর) এক পিস , এক পিস দেবে অনুরে (মেঝো দেবর), এক পিস দেবে সোহাগ রে (সেঝো দেবর) আর ঘাড় পেট মিলানো এক পিস দিবা মহসিন রে (ছোট দেবর)..

আর বাকী দুই পিছ তুমি আমি খাব। আমার তো কাটা বাছতে কষ্ট হয় তাও লেজটা আমিই নেব।

আমি অতি ভদ্রতা দেখিয়ে বললাম ঘাড় পেটের আরেক পিসটা আপনি নেন। আমি লেজ খাবো।

শ্বাশুড়ী বলে উঠলো – ওহ আগে বলবে না তুমি লেজ পছন্দ করো।

আমি আসলে এমন কিছুই বলি নাই।

যাই হোক এরপর থেকে খেতে বসলেই আমার শ্বাশুড়ী বলতেন – বৌ তো লেজ পছন্দ করে।

আমি মনে মনে হাসতাম। আর লেজের মাছ খেতে বসলে মায়ের চেহারাটা ভেসে উঠত আর ভাবতাম.. মায়েরও তাহলে লেজটা খেতে ভালো লাগত না। আমাদের ভাগাভগি করে দিয়ে লেজটাই তার কপালে জুটতো।

আর আমরা কখনো জিজ্ঞাসাও করতাম না মা – তোমার কি সত্যিই লেজের মাছটা ভালো লাগে?

মেয়েরা হয়ত এভাবেই সেক্রিফাইস করে। খুব গোপনে। কেউ জিজ্ঞাসাও করেনা। কারো চোখেও পরে না। কেউ বুঝতেও চায়না। কেউ বুঝাতেও চায়না।

Loading