সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ কর্ণাটকের কালবুর্গির মহিলারা আজ এক ব্যতিক্রমী সাফল্যের নজির স্থাপন করেছেন। জোয়ারের মতো প্রাচীন খাদ্যশস্যকে তাঁরা কেবল স্বাস্থ্যের অনুষঙ্গেই সীমাবদ্ধ রাখেননি—তাঁরা একে রীতিমতো একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত করেছেন। এই গ্রামীণ নারীরা গড়ে তুলেছেন একটি সমবায় সংস্থা, যার অধীনে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৩,০০০-এরও বেশি জোয়ারের রুটি।
এই রুটির ঘ্রাণ আজ আর শুধু কালবুর্গি অঞ্চলের গ্রামের ঘরে ঘরেই সীমাবদ্ধ নয়। বেঙ্গালুরুর মতো মেট্রো শহরে খোলা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিক্রয় কাউন্টার। সেখানে ক্রেতারা প্রতিদিন ভিড় করছেন স্বাস্থ্যকর ও ঘরোয়া স্বাদের জোয়ারের রুটি কিনতে। পাশাপাশি, অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মেও চলছে রমরমিয়ে অর্ডার।
এই সমবায় গঠনের নেপথ্যে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রচেষ্টা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা। তাঁরা শুধু রুটি তৈরি করছেন না, সেইসঙ্গে প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং ও বাজারজাতকরণের দিকেও নজর দিচ্ছেন। ফলে একটি ছোট পল্লির ঘরের রান্না আজ পৌঁছে যাচ্ছে শহরের ডিনার টেবিলে।
সমবায়ের সদস্য সুচিত্রা তুর্লাপুর বলেন, “আমরা যখন শুরু করি, তখন ভাবিনি এই রুটি একদিন বেঙ্গালুরু পেরিয়ে অন্যান্য রাজ্যেও পৌঁছাবে। আজ আমাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে, বড় বড় রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার আসছে—এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সচেতনতার প্রতীক নয়, এটি গ্রামীণ নারীর আত্মনির্ভরতারও উজ্জ্বল উদাহরণ। এই উদ্যোগ যে কেবল খাদ্যসামগ্রী নয়, একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতে এই জোয়ারের রুটিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার। কালবুর্গির রুটি আজ কেবল একটি খাদ্যদ্রব্য নয়, বরং এক আত্মবিশ্বাসের নাম।

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর