সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গেও উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় মৎস্যজীবী দিবস। মাছচাষ এবং মৎস্যজীবীদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। জাতীয় মৎস্য চাষী দিবস প্রতি বছর ১০ জুলাই তারিখে ভারতে পালিত হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য হলো মৎস্য চাষের সাথে জড়িতদের, যেমন জেলে, মাছ চাষী, মৎস্য বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য অংশীদারদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা। ২০০১ সালে ভারত সরকার এই দিবসের স্বীকৃতি দেয়।
দিনটির মূল উদ্দেশ্য — মৎস্যচাষের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মৎস্যজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, এবং মাছচাষে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে প্রচার।
এই উপলক্ষে রাজ্য সরকারের তরফে আজ একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে সল্টলেকের নলবনে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, যিনি মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দেন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলা বরাবরই মৎস্যচাষে অগ্রণী। রাজ্যের বহু পরিবার এই পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। রুই, কাতলা, মাগুর, তেলাপিয়া থেকে শুরু করে চিংড়ি রফতানি — মৎস্য খাত রাজ্যের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
দিবসটি সেইসব মানুষের জন্য যারা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে আমাদের প্লেটে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করেন। তাঁরা শুধুমাত্র মাছ ধরেন না, তারা জীবিকা, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি।
জাতীয় মৎস্যজীবী দিবস কেবল একটি সরকারি অনুষ্ঠান নয়, এটি এক গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক — সেই পরিশ্রমীদের প্রতি, যাঁদের হাতে গড়ে উঠেছে এক সমৃদ্ধ জলের অর্থনীতি। মৎস্য খাতকে আধুনিক ও টেকসই করার লক্ষ্যেই আজকের দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ।

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর