সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ আজ স্মরণ করা হচ্ছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অমর অধ্যায়—বীরাঙ্গনা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মবলিদান দিবস। ১৯৩২ সালের এই দিনে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। প্রীতিলতা ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে বিএ পরীক্ষায় ডিসটিংশনসহ উত্তীর্ণ হন।
প্রীতিলতা ছিলেন চট্টগ্রামের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বাধীন যুগান্তর দলের অন্যতম সাহসী যোদ্ধা। নারী হয়েও সমাজের কুসংস্কার, সামাজিক বাধা এবং ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে তিনি যোগ দিয়েছিলেন মুক্তির সংগ্রামে।
১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে নেতৃত্ব দেন প্রীতিলতা। এই ক্লাব ছিল ইংরেজদের বর্ণবাদী আস্তানা, যেখানে বাঙালিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। পরিকল্পিত অভিযানে বিপ্লবীরা ইংরেজদের উপর গুলি চালিয়ে দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। অভিযানের শেষে শত্রুর হাতে ধরা পড়ার পরিবর্তে তিনি নিজের সঙ্গে রাখা সায়ানাইড খেয়ে আত্মবলিদান দেন।
ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, প্রীতিলতার এই আত্মত্যাগ ছিল ভারতীয় নারীর আত্মমর্যাদার এক ঐতিহাসিক জাগরণ। স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীর সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ হিসেবে তিনি এক অম্লান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
আজ তাঁর আত্মবলিদান দিবসে বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক মহল তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁর নাম আজও প্রেরণার প্রদীপ হয়ে জ্বলছে।
“আমরা স্বাধীন হবই”—এই অটল বিশ্বাস বুকে নিয়ে যিনি শহীদ হয়েছিলেন, তিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

![]()

More Stories
‘ইতিহাস বইয়ে আকবর-ঔরঙ্গজেব, দেশের আসল নায়করাই ব্রাত্য’, সিলেবাস বদলের দাবি অক্ষয়ের?
বঙ্গোপসাগরের আকাশে ১৪,০০০ কিমি নো–ফ্লাই জোন ঘোষণায় ভারতের নিরাপত্তা কৌশলে নতুন অধ্যায়
বিহারে মাতৃদুগ্ধে ইউরেনিয়াম—চমকে দিল গবেষণাবিশেষজ্ঞদের সতর্কতা: দূষণ পৌঁছে গেছে বিপজ্জনক পর্যায়ে