সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: নিরামিষাশী কুমিরের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বের পশুপ্রেমীদের। বাবিয়া নামে পরিচিত ছিলো পশুপ্রেমীদের কাছে। মাংসাশী প্রাণী হয়েও সে কিন্তু নিরামিষাশী ছিলো। মূলত, বাবিয়া নামে পরিচিত ওই কুমিরটিকে সকলেই ঈশ্বরের দূত হিসেবে বিবেচিত করতেন। কখনও আমিষ খাওয়ার চেখে দেখেনি সে। এমনকি, পুকুরে বসবাস করা বাবিয়া কখনও পুকুরের মাছেদেরও আক্রমণ করেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে, গত রবিবারই মৃত্যু ঘটে তার। আর এই ঘটনার পরেই কেরালার কাসারগড় এলাকার শ্রী আনন্দপদ্মনাভ মন্দিরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কুমিরটির বয়স ছিল প্রায় ৭৫ বছরেরও বেশি। এমনকি, বাবিয়ার মৃত্যু সংবাদ সামনে আসতে তার কিছু ছবিও ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেরালার ওই মন্দিরটির অন্যতম আকর্ষণই ছিল নিরামিষ ভোজী কুমিরটি।
সর্বোপরি, তাকে ভক্তিও করতেন সবাই। বহু মানুষ ভিড় করতেন বাবিয়ার দেখা পাওয়ার জন্য। যদিও, কুমিরটি কিভাবে ওই পুকুরে এসেছিল বা তার নামকরণই বা কিভাবে হল এই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন নি। তবে, বাবিয়া সম্পূর্ণ নিরামিষ খাওয়ার খেত। সকাল বিকেল মন্দিরের পুজোর পর তাকে ভোগ দেওয়া হত।মন্দিরের পুরোহিত নিজের হাতে কুমিরটি কে খাইয়ে দিতেন। পুরোহিত ভোগ নিয়ে পুকুরের ঘাটে এসে দাঁড়ালেই কুমিরটি তাঁর কাছে এসে শান্তভাবে খাবার খেয়ে নিত। কখনোই সে কারুর ক্ষতি করে নি। এমতাবস্থায়, ভক্তদের বিশ্বাস ছিল যে, কুমিরটি প্রভু অনন্তপদ্মনাভকে পাহারা দিচ্ছে।কিন্তু তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভক্তদেরও।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন