সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: যার মধ্যে মানবিকতা আছে, মনুষ্যত্ব বোধ আছে তাকেই আমরা মানুষ পদবাচ্য বলে ধরে নিই। কারও কারও মধ্যে এই গুণগুলোর চরম অভাব দেখা গেলেও অনেকের মধ্যে এটা দেখা যায়। করোনার সময় থেকে এর পর্যাপ্ত নিদর্শন পাওয়া গেছে। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহু সংস্থা।সদ্য শেষ হলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। বড় বড় বাজেটের পুজো, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ। আলোর ঝলকানিতে ঝলসে ওঠে চোখ। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ছে। দামি পোশাক পড়ে কোথাও সপরিবারে, কোথাও বা প্রেমিক-প্রেমিকা হাত ধরাধরি করে ঠাকুর দর্শনে বেড়িয়েছে। তারপর দামি রেস্টুরেন্টে অর্ধেক খাবার খেয়ে বাকি অর্ধেক নষ্ট করা হয়। সেটার ছবি তুলে সগৌরবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার পোস্টও করা হয়।ওদিকে একদল অভুক্ত শিশু অসহায় ভাবে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রঙিন পোশাক পড়া মানুষগুলোর দিকে। পড়নে তাদের ছেঁড়া তেল চিটচিটে জামা। নতুন পোশাক কিনে দেবার সামর্থ্য ওদের অভিভাবকদের নেই। তার মাঝেও আদরবাসা, হেল্পিং হ্যাণ্ডস, হৃদি-পল্লব, সোল, সৌরভ গাঙ্গুলী বস অফ ইন্ডিয়া, গ্রেস এণ্ড গ্লোরি অফ গড চ্যারিটেবল সোসাইটি, খোলা জানালা, আমরা মানবিক সহ বেশ কিছু সংস্থাকে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ নথিভুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অনেকেই আবার তাও নয়। অনেক সংস্থার সদস্যদের নিজস্ব আর্থিক সামর্থ্য থাকলেও কিছু তো পুরোপুরি অপরের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। প্রচারের সার্চ লাইট এদের উপর থাকে না। কারণ এদের উপর নির্ভর করে তো আর মূল স্রোতের সংবাদ মাধ্যমের টিআরপি বাড়বে না। অথচ একটু প্রচার পেলে হয়তো এদের দিকে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। দিনের শেষে লাভ হতো দুঃস্থদের।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক