October 6, 2025

বছরে মাত্র একবারই একদিন দিন খোলে মন্দিরের দরজা, ভক্তদের সমাগম কয়েক লক্ষ

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: সারা বছর এ মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকে। বছরে মাত্র ১ দিনই এ মন্দিরের বিগ্রহের দেখা পান সকলে। সেই দিনটা বিজয়াদশমী।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রয়েছে দেশের একমাত্র রাবণের মন্দির। ওই মন্দিরের দরজা বছরে মাত্র ১ দিনই খোলা হয় ভক্তদের জন্য। দশেরা বা বিজয়াদশমীর দিন খোলা হয় রাবণ মন্দিরের দরজা।ছিন্নমস্তা মন্দিরের উল্টোদিকে রয়েছে এই রাবণের মন্দিরটি। এখানে দশেরার দিন কিন্তু উপচে পড়ে ভিড়। রাবণের পুজো দিতে বহু মানুষের ঢল নামে মন্দিরের সামনে। লম্বা লাইন পড়ে যায়। রাবণের পুজো দিতে দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ হাজির হন মন্দিরে।মন্দিরটি ১৫০ বছরের পুরনো। কানপুরের শিবালা এলাকায় মন্দিরটি অবস্থিত। দশেরার সন্ধেয় ভক্তরা মন্দির চত্বর প্রদীপের আলোয় ভরিয়ে দেন। রাবণের মূর্তির পুজো হয়। হয় আরতি।রাবণ এই মন্দিরে শক্তি ও জ্ঞানের জন্য পূজিত হন। রাবণ ছিলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত। তাঁর শক্তি ও জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিল অপার। রাবণের সেই ২ গুণই এখানে পূজিত হয়।ছিন্নমস্তা মন্দিরের বাইরে এই দশানন মন্দিরটি অবস্থিত। মনে করা হয় রাবণ ছিলেন দেবীর রক্ষী। সেই মন্দির দশেরার দিন সকাল ৯টায় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আর সন্ধেয় যখন রাবণ দহন হয়, তারপরই মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর ফের তা খোলা হয় পরের বিজয়াদশমীর দিন।কথিত আছে রাবণ যখন মৃত্যুর মুখে, তখন রাম তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে রাবণের কাছে গিয়ে তাঁর আশির্বাদ নিতে বলেন। মহাজ্ঞানী রাবণের কাছ থেকে কিছু নীতিশিক্ষার পাঠ নিতেও লক্ষ্মণকে নির্দেশ দেন রাম।

Loading