October 6, 2025

ইডির জালে অনুব্রত, এরপর বীরভূমের কি হবে?

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: অবশেষে প্রত্যাশা মতই ইডির জালে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা দুর্দান্ত প্রতাপ নেতা ও সংগঠক অনুব্রত মণ্ডল। মূলত গরু পাচার করার অভিযোগে গত ১১ ই আগষ্ট সিবিআই বোলপুরের নিজস্ব বাড়ি থেকে অনুব্রত ওরফে কেষ্টকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকে আদালতের নির্দেশে এতদিন সে আসানসোলের সংশোধনাগারে বন্দী ছিল। গত ১৭ ই নভেম্বর আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশোধনাগারে ইডি তাকে জেরা করে। তার উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে ইডি তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেপাজতে নেয়। শোনা যাচ্ছে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে। চিটফাণ্ডকে কেন্দ্র করে যেসব তদন্ত চলছে তার ধারাবাহিক ইতিহাসের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, সিবিআই, ইডি, জেরা, গ্রেপ্তার দীর্ঘদিন পর জামিনে মুক্তি। এটাই চলে আসছে। মাঝখান থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কিছুটা সময় কারাগারের অন্ধকার কক্ষে কেটে যাচ্ছে এবং প্রমাণিত অপরাধী না হয়েও এক শ্রেণির রাজনীতির নেতার কাছে চোর নামে অভিহিত হচ্ছে। এই রাজ্যে এটা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ফলে এখন আর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়না। প্রশ্ন অন্য জায়গায়।
অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন বীরভূম জেলার সভাপতি এবং এখনো আছেন। একইসঙ্গে অধুনা পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক ছিলেন। সংগঠক হিসাবে নিজের দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন। তার দাপটে একদা লালদুর্গ বীরভূম বা পূর্ব বর্ধমানের তিনটি ব্লক তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। এখনো বিরোধীরা সেখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তার ভয়ে নিজের দলের নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত তটস্থ ছিল। তার এলাকায় দলের রাজ্য নেতৃত্ব ছিল অপাঙক্তেয়। আক্ষরিক অর্থে সেখানে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এমনকি দলের সিদ্ধান্ত তিনি অনেক সময় মানতেন না। নিজ এলাকায় তার সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। কোনো অজানা কারণে রাজ্য নেতৃত্ব নীরব থাকত। অর্থাৎ কার্যত এই রাজ্যের মধ্যে দু’টো তৃণমূল কংগ্রেস ছিল – একটা অংশের নেতৃত্বে ছিল অনুব্রত মণ্ডল এবং অপর অংশে বাকিরা।প্রশ্ন উঠছে কেষ্টর অবর্তমানে বীরভূম চালাবে কে?

Loading