সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : বিশ্বের মধ্যে চিন (China) এমন একটি দেশ যেখানে মাঝেমধ্যে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় বিশ্বকে। নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দেশ। এমনকি, ওই দেশের বিভিন্ন নেতিবাচক পরীক্ষা নিয়েও সজাগ থাকে অন্যান্য দেশগুলি। করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর পরে এই সর্তকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিক এই আবহেই একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। মূলত, NASA (National Aeronautics and Space Administration) প্রধান বিল নেলসন মহাকাশে চিনের (China) সেনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন আমেরিকার আইন প্রণেতাদের। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানিয়েছেন যে সাধারণ মহাকাশ অভিযানের আড়ালে লালফৌজের মহাকাশ অভিযানের কথা রীতিমতো লুকিয়ে রেখেছে চিন। এর পেছনে রয়েছে রয়েছে একটি কারণও। মূলত, চাঁদের সম্পদের ওপর নিজেদের দাবি জানানোর জন্যই জিনপিংয়ের দেশ এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, NASA প্রধান বিল নেলসন ক্যাপিটাল হিলে আমেরিকার আইন প্রণেতাদের সতর্ক করে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “বিগত ১০ বছরে লক্ষণীয়ভাবে অতিরিক্ত তৎপরতা দেখিয়েছে চিন। পাশাপাশি, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ওই বিষয়টির কথা লুকিয়ে রাখে তারা।” তিনি আরও জানান, ” বেজিং নিজেদের সাধারণ মহাকাশ অভিযানের আড়ালে চাঁদের সম্পদের ওপর দখলদারি করার জন্য সেনা পরিকল্পনার কথা ভালোভাবে লুকিয়ে রেখেছে। আমাদের বিশ্বাস তাদের তথাকথিত সাধারণ মহাকাশ অভিযান হল মূলত লাল ফৌজের একটি মিশন। এর প্রভাবে আমরাও একটা রেসের মধ্যে রয়েছি।” এদিকে, ইতিমধ্যেই এই সতর্কবার্তা প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টেও। এমতাবস্থায়, NASA প্রধান চিনের এই চাঞ্চল্যকর পরিকল্পনার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করার পাশাপাশি নজরদারি চালাতেও বলেছেন। তিনি চিনের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, “ওই দেশের বোঝা উচিত যে সাধারণ মহাকাশ শান্তির জন্য ব্যবহারের জায়গা। কিন্তু, চিনের এই দখলদারি চালানোর চেষ্টা আমরা লক্ষ্য করতে পারছি না।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই পূর্বে বিল নেলসন দাবি করেছিলেন, মহাকাশের বিষয়ে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। তিনি সতর্ক করেছিলেন, এমনও হতে পারে চিন চাঁদের খনিজ সম্পদযুক্ত অঞ্চল নিজেদের বলেও দাবি করতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে NASA-র বাজেট বরাদ্দ ঠিক করার জন্য মার্কিন সংসদের নির্দিষ্ট কমিটিতে চলা আলোচনার সময়েই নেলসন মহাকাশে চিনের লুকিয়ে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি উপস্থাপিত করেন। তিনি এটাও বলেন যে, চাঁদে চিনের দখলদারির আগে আমেরিকার নিজেদের জায়গা নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, তিনি আশঙ্কা করেছেন বেজিং যদি আগে চাঁদে পৌঁছে যায় সেক্ষেত্রে তারা এটাও হয়তো বলতেই পারে, “এটা আমাদের। তাই NASA -র তরফ থেকে নজরদারি চীনের দিকে।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু