December 1, 2025

কাকুর কণ্ঠস্বর মিলে গেছে, এবার 180 উপরে প্রেসার বেড়ে যাবে! কাকে ইঙ্গিত শুভেন্দু অধিকারীর?

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বর ফরেন্সিক রিপোর্টে ভয়েস ক্লিপিং-এর সঙ্গে মিলে গেছে এমনকি রিপোর্ট জমা দিয়েছেED। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চেয়েছে সিবিআই। এদিকে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে ইডি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গোটা ঘটনায় একজনের প্রেশার বেড়ে গেছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ কথা বলেছেন, তা বোঝা খুব কষ্টকর নয়। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে এদিন জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, ”কাকুর কণ্ঠস্বর মিলে গেছে, ইডি রিপোর্ট করেছে। কণ্ঠস্বর মিলে গেছে মানে এবার ভাইপোর প্রেশার বেড়ে গেল। এখনই মাপলে দেখবেন ১৮০-র উপরে আছে। এই চোরেরা পশ্চিমবঙ্গের সব লুট করেছে।” নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ খুলে স্কুল সার্ভিস কমিশনকেও বুধবার তুলোধনা করেছেন বিজেপি নেতা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেছে। কিন্তু এদের মধ্যেই অনেকে দাবি করছেন যে তাঁরা যোগ্য। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু এসএসসি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ”যোগ্য কারা, আর অযোগ্য কারা এই রিপোর্টটা দেওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। সেই তালিকা পর্যন্ত আদালতে দেওয়া হয়নি।” শুভেন্দুর অভিযোগ, চোরদের বাঁচানোর জন্য আর অবৈধ নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার জন্য দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছে। রাজ্যের শাসক শিবিরকে নিশানা করে শুভেন্দুর কটাক্ষ, আগে বলা হত ডবল ডবল চাকরি হবে। এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে। এতদিন শুধু বিজেপি আর অন্য কিছু লোকেরা তৃণমূলকে চোর বলতো। এখন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় সিলমোহর লাগিয়ে দিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গোটা ক্যাবিনেটটাই চোর, বলছেন শুভেন্দু। গত সোমবার শুভেন্দু অধিকারীই দাবি করেছিলেন, চোরদের নিয়োগ করার জন্য বাড়তি পোস্ট তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেদিন ক্যাবিনেটে যারা উপস্থিত ছিল তাদের সবাইকে অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। নিয়োগ কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট সোমবারের রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দফতরের যে সব অফিসাররা এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যে অফিসাররা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে তাঁদের হেফাজতে নিতে পারবে। তদন্ত প্রক্রিয়ার ভার তুলে সিবিআই এর হাতে।

Loading