সোমলিয়া ওয়েব নিউজ; ভোট পর্ব প্রায় শেষ আর এক দফা ভোট গ্রহণ বাকি আছে। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই যন্ত্রণা শুরু হয়েছে অক্সিজেন দাতাদের। এই অক্সিজেন দাতারা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পরিবেশে অক্সিজেন দিয়ে যায়। অক্সিজেন দাতাদের জন্য ভাবেনা এই সভ্য সমাজ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে নিজেদের রাজনৈতিক পতাকা পেরেক দিয়ে পুঁতে দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায় গাছেদের শরীরের। যন্ত্রণায় গাছেরা আজও ছটফট করছে। এই যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানেনা কেউ। হয়তো দীর্ঘ বছর ধরে গাছেদের শরীরে পোঁতা পেরেক রয়ে যাবে। সমাজে কেউ নেই প্রতিবাদ করার!!পরিবেশ প্রেমীরা কোথায়? নির্বাচন কমিশন কি দেখতে পায় না? যদি না পায় নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা খুবই প্রয়োজন। এমনই কঠোর নিয়ম বা আইন তৈরি করতে হবে যে- যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের পতাকা গাছেতে পেরেক দিয়ে পোঁতা থাকবে সেই রাজনৈতিক দলের সেই এলাকার প্রার্থী পদ বাতিল করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোই নয় বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি বিজ্ঞাপনের স্বার্থে খুব সহজেই এই অবলা গাছেদের বেছে নিচ্ছে। এক্ষেত্রেও যে সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখা যাবে সেই সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করে দিতে হবে। আর এইসবের থেকেও জরুরি হলো সমাজের সভ্য মানুষের সচেতনতা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। গাছেদের ওপরে অত্যাচারের জন্য বনদপ্তরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বনদপ্তরের হেল্প লাইন নাম্বার চালু করতে হবে।, সেই নাম্বার সমাজে প্রচার করতে হবে। স্কুল কলেজে সচেতনতা ভিত্তিক প্রচার করতে হবে। ৪ঠা জুন ভোটের রেজাল্টের পরেও হয়তো গাছেদের এই যন্ত্রণা রয়ে যাবে, কেউ কি এগিয়ে আসবে গাছেদের এই যন্ত্রণা নির্মূল করতে? কেউ কি জনস্বার্থে গাছেদের স্বার্থে হাইকোর্টে মামলা করবে?
More Stories
সুন্দরবনে পাখির সংখ্যা ৩১ হাজার ৮২৭, বনদপ্তরের সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা হাতি ও দুই শাবকের
উস্রি নদীর ঝর্ণায় ভরা বর্ষার ভয়ানক রূপে মোহিত পর্যটকরা