October 6, 2025

রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবড়া

সোমালিয়া ওয়েবে নিউজ: এই সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষাধর। কাউকে ছোবল দিলে অ্যান্টিভেনাম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা কম। চন্দ্রবোড়ার বিষ হেমাটোটক্সিক, যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। রাসেল ভাইপারের বিষ ফুসফুস, কিডনি নষ্ট করে দেওয়ার মতো বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ক্ষতস্থান ফুলে যায়। ভয়ংকর ব্যাপার হল অন্যান্য সাপ সাধারণত নিজেরা আক্রান্ত হলে কিংবা সরাসরি কারও সামনে পড়লে ছোবল দেয় অন্যথায় কামড় দিতে আসে না বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাসেল ভাইপার দূর থেকে মানুষ দেখলেও তেড়ে আসে আর কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে। অন্য সাপ এক রকম বিষ ধারন করলেও,,রাসেল ভাইপারের বিষ একই সাথে ৫/৬ ধরনের হয় সাপ। সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। ফলে সাপের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এরা বছরের যে কোন সময় প্রজনন করে। তবে মে থেকে পরের তিন মাস প্রজনন সবচেয়ে বেশি ঘটে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোন কোন চন্দ্রবড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে।সম্প্রতি,, বিভিন্ন এলাকায় এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে অ্যান্টিভেনাম তৈরি করার কোনও সেন্টার নেই। ভারতে রয়েছে একটিই, তামিলনাড়ুর মহাবলীপূরমের ইরুলা সোসাইটিতে অ্যান্টিভেনাম তৈরি হয় এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। পশ্চিমবঙ্গেও আসে সেই পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনাম। সাপের বিষ সংগ্রহ করে সেটি ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে প্রতিষেধক। ঘোড়ার দেহের রক্তে তৈরি হওয়া বিষ প্রতিরোধকই আরও প্রসেসিং করে বানানো হয় মানুষের অ্যান্টিভেনাম।

Loading