সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বর্তমান রাজনীতিতে এক দলের কর্মীদের সঙ্গে অন্য দলের কর্মীদের সাথে তেমন একটা ভাব নেই। অথচ ছবিতে দেখুন কিভাবে তারা একে অন্যের পাশে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে মিশে আছে। এই যে এত বড় পতাকার স্তুপ হয়েছে, প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পতাকা একে অপরের ওপর স্তরে স্তরে চেপে বিশাল পতাকা স্তুপের আকৃতি ধারণ করেছে। এই ভাবেই তো রাজনীতি করা উচিত। রং-বর্ণ না দেখে একসাথে হাত ধরে এগিয়ে চলা, অন্যের বিপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। এইভাবেই আস্তে আস্তে সকলে মিলে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া। এই সুবিশাল পতাকার স্তূপের মত যদি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বন্ধন থাকে তাহলে দেশের উন্নতি হতে বাধ্য। দুর্নীতি বলে আর কিছুই থাকবে না। তাহলে কেন এত হিংসা হানাহানি? ভাল করে লক্ষ্য করুন এবং বুঝুন উপরের নেতৃত্ব তারা দল বদল করে, আর নিচুতলার কর্মীরা হিংসা হানাহানি করে। কি লাভ এই হিংসা করে? পতাকার স্তুপে কান পাতলে আওয়াজ পাওয়া যায় যে তারা যে রঙের-ই হোক না কেন প্রতিবছর অপরিসীম লাল রক্তে ভিজে যায়। একবার ভাবুন তো এই পতাকা কাপড়ে যদি গরিব মানুষ ও রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষগুলোর জন্য শীতবস্ত্র কিনে দেওয়া যেত? অথবা যাদের বাসস্থান নেই, খাবার নেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস তাদের হাতে তুলে দেওয়া যেত? না জানি আরও এইরকম কত পতাকা নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। সময় এসেছে প্রতিটা রাজনৈতিক দলের চিন্তাভাবনা করার। আবার দেখবেন এই পতাকাই পেরেক দিয়ে গাছে লাগানো হয়। গাছের কষ্ট হয়। তারা চাপাা কান্নায় বলে, আমরা যথেষ্ট সুন্দর তোমাদের জন্য। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে ছায়া দিই, স্নিগ্ধ বাতাস ও পরিবেশ রক্ষা করি। কিন্তু আমাদেরকে বিভিন্ন রঙে সাজিয়ে তোলার কোন প্রয়োজন নেই। এই কাপড় যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছে যাওয়াই ভাল। সারাবছর সমস্ত রাজনৈতিক দলের পতাকার মূল্যের হিসাব করলে যে অংক আসবে তা জানলে অবাক হতে হবে।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর