সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ
১। মাটি প্রস্তুতি:
* মাটি ১২-১৫ কেজি পরিমাণ, পঁচা গোবর সার/ভার্মি কম্পোস্ট সার ৫ কেজি, সাদা বালু ৪-৫ কেজি, ছাই ১ কেজি, ও কার্বোফুরান গ্রুপের দানাদার কীটনাশক ২৫ গ্রাম।
এর সাথে টিএসপি ১০ গ্রাম , এম ও পি ১০ গ্রাম, জিংক ও বোরন সার ৫ গ্রাম করে মিশাতে পারেন।
এগুলো এক বস্তার মাটি তৈরির জন্য। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিতে হবে।
আপনার মাটি যদি বেলে দোআঁশ হয় তবে বালুর পরিমাণ কম দিতে হবে।
২। বীজ সংগ্রহ:
নিকটস্থ সার ও বীজের দোকান হতে ভালো জাতের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া বাজারের যে আদা আমরা খাই ঐ আদাই বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ওখান থেকে ভালো দেখে আপনার পছন্দের আদাই চাষ করতে পারেন।
৩। জল সেচ:
বৃষ্টিপাত না হলে বস্তায় হালকা ভাবে ঝাঝরি দিয়ে অল্প পরিমাণে সেচ দিতে হবে। তবে বৃষ্টি স্বাভাবিক মাত্রায় হলে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে পানি যেন না জমে থাকে।
৪। বীজের আকার ও রোপন পদ্ধতি :
প্রতি বস্তায় ৩৫-৫০ গ্রামের ২-৩ টি কুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ মাটির ভিতরে ৩-৪ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।
৫। সার প্রয়োগ:
চারা লাগানোর দু’মাস পরে চার চা চামচ সরিষার খৈল ও আধ চামচ ইউরিয়া এবং রোপনের যথাক্রমে ৮০-৯০ দিন দিন পর ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম এমওপি সার আবার ১১০-১২০ দিন পর ৩ গ্রাম ইউরিয়া ৫ গ্রাম এমওপি সার ও ৫ গ্রাম ডিএপি সার বস্তায় প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের সময় মাটিটা একটু খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে।
৬। বীজ বপনের সময়:
বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য (এপ্রিল- মে) বপনের উপযুক্ত সময়।
#বিঃদ্রঃ শুরুতেই অনেক বেশি পরিমাণে বস্তায় আদা চাষ না করে অল্প পরিমাণে চাষ করতে পারেন,
More Stories
ফসলের পোকা দমনে মেহগনি গাছের বীজ থেকে জৈব কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গে ধান উৎপাদনে রেকর্ড, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ উৎপাদন
পেঁপে ও কচু একত্রে চাষ: লাভজনক যুগল চাষ পদ্ধতি