লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ  লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস একটি পরজীবী রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি এলিফ্যান্টিয়াসিস নামেও পরিচিত। এই রোগে লিম্ফ নোড ও জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিসের লক্ষণ: 

  • প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও উপসর্গ থাকে না
  • দীর্ঘমেয়াদীতে শরীরের অঙ্গগুলি ফুলে যায়
  • বাহু, পায়ে, স্তন, বা যৌনাঙ্গে ফোলা দেখা যায়

লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস প্রতিরোধের উপায়: মশার কামড় এড়িয়ে চলা, মশারির নিচে ঘুমানো, উন্মুক্ত ত্বকে পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করা. লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি গ্লোবাল প্রোগ্রাম চালিয়ে আসছে। লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডার উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। ভারত সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করার যে লক্ষ্য স্থির করেছে, তা জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক বড় অগ্রগতি। **লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস (LF) ও MDA কর্মসূচি** লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, সাধারণত **এলিফ্যান্টিয়াসিস** (Elephantiasis) নামে পরিচিত, এক ধরনের পরজীবী ঘটিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি মানুষের জীবনযাত্রার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। বার্ষিক **মাস ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MDA)** কর্মসূচির অধীনে **১১১টি জেলার ১৭ কোটি ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে**। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো সংক্রমণ হ্রাস করে রোগের বিস্তার সম্পূর্ণরূপে থামানো। **মন্ত্রী ঘোষিত পাঁচমুখী পরিকল্পনা:** স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের জন্য পাঁচমুখী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন, যা নিম্নরূপ হতে পারে:

1. **গণহারে ওষুধ প্রদান:** ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনগণকে বিনামূল্যে অ্যান্টি-ফাইলেরিয়াল ওষুধ সরবরাহ করা।

2. **সচেতনতা বৃদ্ধি:** গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ফাইলেরিয়াসিস সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা।

3. **মশা নিয়ন্ত্রণ:** মশার বংশবৃদ্ধি রোধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও কীটনাশক ব্যবহার।

4. **কমিউনিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা:** বিধায়ক, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা।

5. **চিকিৎসা ও পুনর্বাসন:** সংক্রমিত ব্যক্তিদের জন্য উন্নত চিকিৎসা ও সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

**২০২৭ সালের লক্ষ্য এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি** সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, **২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) পূরণের আগেই** ভারতকে ফাইলেরিয়াসিস মুক্ত করার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে **MDA কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন, সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতি এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে**। এটি নিঃসন্দেহে ভারতের স্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। তবে, জনগণের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণই হবে এই উদ্যোগের সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি।

Loading