সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়া বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে থাকলেও, সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েক মাস আগে নতুন দিল্লিতে অবস্থিত বিচারপতির সরকারি বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এবং বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিচারপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে সংবিধানের নির্দিষ্ট বিধান অনুযায়ী ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার আগে রাজনৈতিক ঐকমত্য অপরিহার্য। কারণ, সংসদের উভয় কক্ষে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ করাতে নির্দিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া কীভাবে চলে?
- ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৪(৪) অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের ইমপিচমেন্ট করা যেতে পারে, যদি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয় “দুরাচরণ” বা “ক্ষমতা অপব্যবহার”।
- সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে প্রস্তাব পাশ হতে হয়।
- তারপরে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিকে অপসারণের আদেশ জারি করতে পারেন।
- বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নৈতিক মান বজায় রাখতে এই ধরনের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
- এটি বিচারপতিদের জবাবদিহিতার একটি উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত হতে পারে।

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর