সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ
“ডাক্তারবাবু, বাচ্চাটা নষ্ট করবো। একটা ওষুধ দিন।”
“এই পেটের আলট্রাসোনোগ্রাফিটা (USG) করে আসবেন।”
“ডাক্তার, পিরিয়ড মিস হয়েছে এক সপ্তাহ। বেশি বড় হয়নি। ওষুধটা দিন, প্লিজ।”
ডাক্তার কিন্তু নাছোড়বান্দা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন — “USG ছাড়া ওষুধ দেওয়া যাবে না।”
রোগিনীর মনে উগরে উঠল ক্ষোভ —
“এই ডাক্তারগুলোর তো একটাই কথা, কমিশন না পেলে টেস্ট লেখে না। সোজা কথা বলে ওষুধটা দিলেই তো হতো। অশোকের দোকান থেকেই তো পাওয়া যায়। কিনে খেয়ে নেবো। কি মরতে ডাক্তার দেখাতে গেছি?”
তারপর…
ছয় দিন কেটে গেল। হঠাৎ মাঝরাতে শুরু হলো প্রবল পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।
ডাক্তারের মুখ গম্ভীর —
“বাঁচবে কিনা বলতে পারছি না। এখনই অপারেশন করতে হবে — Ectopic pregnancy!“
আসলে কী হয়েছিল? অশোকের দোকান থেকে কেনা ওষুধ খাওয়ার পর রক্তপাত হয়নি। পরামর্শে চলে গিয়েছিলেন আরেক ‘হাতুড়ে’র কাছে, যিনি ‘ধোলাই’ (wash) করেছিলেন। সেই হাতুড়ে আজ কোথায়, কেউ জানে না।
অন্যদিকে, ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অভাব। তবু দেরি করলে চলবে না। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে অপারেশন শুরু করলেন।
পেট কাটতেই হুরহুর করে বেরিয়ে এলো রক্ত। রক্তচাপ একেবারে পড়ে গেল। আপ্রাণ চেষ্টা করেও… শেষরক্ষা হলো না। স্তব্ধ হয়ে গেল হৃদয়ের ধুকপুকানি।
বাড়িতে অপেক্ষায় ছিল ছোট ছোট তিনটি শিশু… মায়ের কী হয়েছে, কিছুই জানল না।
অথচ হাসপাতালের বাইরে জমে উঠেছে ভিড়। কে একজন ফিসফিস করে ছড়িয়ে দিল —
“ভুল চিকিৎসা আর ডাক্তারের গাফিলতিতে মৃত্যু!”

More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন