সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: জাতীয় স্তরের ডাকা ধর্মঘটে আজ কেরালায় অংশ নিয়েছেন রাজ্যের একাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক। কিন্তু কেরালা সরকার এই বন্ধের কোনওরকম সমর্থন করেনি, বরং কড়া ভাষায় নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে— ধর্মঘটে অংশ নিলে কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে ‘Dies-Non’ অর্থাৎ, ছুটি নয়, বেতনও নয়।
কেরালার জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, কেরালা সার্ভিস রুলস অনুসারে ৯ জুলাই ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীরা অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য হবেন এবং ওই দিনের বেতন কাটা হবে। আগস্ট মাসের বেতনের সঙ্গে এই ছাঁটাই কার্যকর হবে।
সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে,
ধর্মঘটের দিনে কোনও রকম ছুটি অনুমোদিত হবে না,
শুধুমাত্র চারটি বিশেষ ক্ষেত্রে ছুটি অনুমোদনযোগ্য:
- ব্যক্তি বা নিকট আত্মীয়ের অসুস্থতা
- পরীক্ষার কারণে অনুপস্থিতি
- মাতৃত্বকালীন কারণ
- অনিবার্য পরিস্থিতি
এছাড়াও আদেশে বলা হয়েছে,
- হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- যাঁরা প্রভিশনাল নিয়োগে আছেন, তাঁরা ধর্মঘটে অংশ নিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে
- বিভাগপ্রধানদের Rule 86 অনুযায়ী কঠোর নজরদারি চালাতে হবে
এমনকি, জেলা প্রশাসন ও কেরালা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে, বন্ধ সত্ত্বেও যাত্রী পরিবহনে যেন কোনও ঘাটতি না হয়।
‘কেরালা মডেল’-এ বদলের সুর?
চমকপ্রদভাবে, এই নির্দেশিকা জারি করেছে বাম নেতৃত্বাধীন কেরালা সরকার নিজেই— যে দল একসময় দেশব্যাপী ধর্মঘটের অন্যতম মুখ ছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, একদা ধর্মঘটকে গণআন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বামেরাই কি আজ জনবিরোধী আখ্যা দিয়ে সেই পথ থেকে সরে আসছে?
পশ্চিমবঙ্গের বাম সংগঠনগুলির উদ্দেশে কটাক্ষ করে রাজনৈতিক মহল বলছে, “কেরালা এখন বাস্তববাদী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কিছু ইউনিয়ন নেতা এখনো পুরনো ব্যানার নিয়ে ‘সর্বহারার বিপ্লব’-এর স্বপ্নে বুঁদ হয়ে রয়েছেন।”
কেরালা সরকারের তরফে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “বর্তমান আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে ধর্মঘট আত্মঘাতী। আমরা দায়িত্ববান শাসক হিসেবে এমন কর্মসূচিকে সমর্থন করতে পারি না যা জনজীবন বিপর্যস্ত করে।”


More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর