সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ ভুয়া এবং সাম্প্রদায়িকভাবে উস্কানিমূলক কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করলেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।
আজ দিল্লি পুলিশ সদর দফতরের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্টেশন হাউস অফিসার বরাবর দায়ের করা লিখিত অভিযোগপত্রে সৌমেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ভুয়া এবং সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণসম্পন্ন ভিডিও তাঁর ভেরিফায়েড এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছেন এবং সমাজে বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে চেয়েছেন।
ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২৭ জুলাই, ২০২৫ তারিখে মমতা ব্যানার্জি একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দাবি করা হয় এক বাঙালি মহিলা ও তার সন্তানকে আধার যাচাইয়ের নাম করে দিল্লি পুলিশের কিছু কর্মী অপহরণ ও নিপীড়ন করেছে। সেই ঘটনার নেপথ্যে সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরবর্তী তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলা সজনুর পারভিন স্বেচ্ছায় তাঁর শিশুদের নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন এবং তাঁর প্রাথমিক অভিযোগ ছিল মনগড়া ও মিথ্যা। তদন্তে এই কথাও উঠে আসে যে, এই ভিডিও তৈরির পেছনে এক রাজনৈতিক কর্মী ও এক সাংবাদিকের প্ররোচনা ছিল।
সৌমেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, একটি সাংবিধানিক পদে থেকে এমন বিভ্রান্তিকর ও প্ররোচনামূলক পোস্ট সমাজে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে, যা আইনের শাসনকে দুর্বল করে এবং আইনরক্ষাকারী বাহিনীর উপর মানুষের আস্থা নষ্ট করে।
তিনি তাঁর অভিযোগপত্রে কয়েকটি দাবি জানান:
- মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় এফআইআর রুজু করা হোক।
- সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ফরেনসিক সংরক্ষণ এবং তদন্ত হোক।
- ঘটনার পিছনে থাকা রাজনৈতিক চক্রান্ত উন্মোচনে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হোক।
- দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এই ঘটনাকে ঘিরে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক