সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ হিমালয়ের কোল ঘেঁষে কাংড়া অঞ্চলের বীর নামক স্থানে, নিভৃত নির্জনে বসে আছেন এক মহাপুরুষ—শ্রীমৎ স্বামী বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ। ভক্তরা স্নেহভরে তাঁকে ডাকেন “বাবাজি”। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তাঁর বয়স আজ প্রায় ১৩০ বছর। এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস, যেখানে যুগস্রষ্ট্রী শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীর অন্তিম জীবনের মন্ত্রশিষ্য এখনো দেহে আছেন, ধ্যানমগ্ন আধ্যাত্মিক আলো ছড়াচ্ছেন নিঃশব্দে।
মায়ের আশীর্বাদে দীক্ষিত হয়ে মহারাজ আজীবন মাতৃনির্দেশে সাধনাভরে পথ চলেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর ও স্বামীজীর আশ্রমে না থেকে, স্বয়ং মায়ের ইচ্ছায় তিনি স্বাধীন সাধনা অবলম্বন করেন। তাই আজও তাঁর আশ্রমে প্রবেশ করলে যেন শ্রীশ্রীমায়ের যুগে ফিরে যাওয়া যায়।
আশ্রমের নাম—“বাবাজি কি কুটিয়া”। এখানে প্রতিদিন ভক্তদের নিত্যপূজিত হন দক্ষিণাকালিকা মাতা। মহারাজের কুটিরের ভেতর দেখা যায় পত্রপুষ্পে অলঙ্কৃত দিব্যত্রয়ীর মঙ্গলময় পটচিত্র—শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীমা ও স্বামীজী যেন আশ্রমের প্রতিটি শ্বাসে স্পন্দিত। মহারাজ বেশিরভাগ সময় মৌনতা অবলম্বন করেন, তাঁর নীরব উপস্থিতিই আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এত বয়সেও তিনি নিজ হাতে পায়েস রান্না করে ভক্তদের প্রসাদ প্রদান করেন। একবিন্দু অহংকার নেই, নেই আড়ম্বর—শুধুই ভক্তির স্বচ্ছ ধারা।
কাংড়ার অদূরেই বিরাজমান বৈদ্যনাথ মহাদেবের জ্যোতির্লিঙ্গ। এই পবিত্র তীর্থভূমিতেই শ্রীমায়ের অন্তিম মন্ত্রশিষ্য আজও নিভৃতে আছেন, নীরবে সাধনার আলো বিলিয়ে চলেছেন বিশ্বমাঝে।
তাঁর সান্নিধ্যে ভক্তরা অনুভব করেন, আধ্যাত্মিক জীবন মানে শুধু গ্রন্থের বাণী নয়, বরং এক জীবন্ত সাধনার অভিজ্ঞতা। যেন নিভৃতে বসে থাকা মহারাজই বলছেন—
“মা আছেন, ঠাকুর আছেন, স্বামীজী আছেন—শুধু ভক্ত হৃদয়ে তাদের ডাকার শক্তি থাকতে হবে।”

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর