সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: সম্প্রতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আছড়ে পড়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। এর ফলে এই দুই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশকিছু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এখনও জলবন্দি রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে এই দিন ঝড়ের সময় ওড়িশায় জন্ম নিয়েছে প্রায় তিন শতাধিক সন্তান। এখন তাদের নামকরণ ঝড়ের নাম অনুযায়ী রাখার ধুম পড়ে গেছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় ওঠা প্রাকৃতিক ঝড়গুলির নামকরণ করে এই এলাকার বিভিন্ন দেশ। এক্ষেত্রে এই ঝড়ের নামকরণ করেছিল ওমান। তাদের ভাষায় ‘যশ’ কথার অর্থ হল জেসমিন বা জুঁঁই। আর তাই এখন নবজাতকদের ক্ষেত্রে সেই যশ নামের পাশাপাশি ওই নামের অর্থ জেসমিন বা জুঁই রাখা শুরু হয়েছে। ওড়িশা সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে ওইদিন জন্ম নেওয়া প্রায় ৩০০ শিশুর মধ্যে ইতিমধ্যেই কুড়িটির বেশি শিশুর নামকরণ করা হয়েছে যশ। এছাড়াও অনেকের নামকরণ করা হয়েছে ‘জেসমিন’। আবার কারও নাম রাখা হয়েছে ‘জুঁই’। আবার পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে কেউ কেউ ইয়াস বা ইয়ুস নাম রেখেছেন। বালাসরের পারাখি এলাকায় সোনালী মাইতি ঝড়ের মধ্যেই এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি তাঁর ছেলের নাম রেখেছেন ‘ইয়ুস’। এছাড়া কেন্দাপাড়ার বাসিন্দা সরস্বতী বৈরাগী তাঁর মেয়ের নাম রেখেছেন ‘যশ’। অন্যদিকে ভুবনেশ্বরের অর্ণব পট্টনায়েক তাঁর ছেলের নাম রেখেছেন ‘ইয়াস’। কটকের এক শিক্ষিকা দম্পতির ঘরে এসেছে এক কন্যা সন্তান। তাঁরা নাম রেখেছেন ‘জেসমিন’। তবে বেশিরভাগ নবজাতকেরই এখনও নামকরণ হয়নি। তবে বাকিদের মধ্যে আরও অনেকের নামে যে ‘যশ’ রাখা হবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর