আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস
সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ আজ স্মরণ করা হচ্ছে এক অনন্য নারীর আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের প্রতীককে — ভগিনী নিবেদিতাকে। ১৯১১ সালের এই দিনে তিনি মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন। তাঁর আসল নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেও ভারতবর্ষ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছিলেন এই দেশের সেবায়।
১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডে জন্মানো মার্গারেট নোবেল শিক্ষকতা দিয়ে জীবনের পথ শুরু করেছিলেন। ১৮৯৫ সালে লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা শুনে তাঁর জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। ১৮৯৮ সালে তিনি ভারতে আসেন এবং স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে নাম দেন — “ভগিনী নিবেদিতা”, অর্থাৎ “যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।”
ভারতীয় নারীদের শিক্ষার প্রসারে তিনি অসামান্য ভূমিকা নেন। কলকাতায় নারী শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে শিক্ষার পাশাপাশি সমাজসেবার কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে ওঠে। স্বামীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি স্বদেশি আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ সরকারের শাসননীতির বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ছিল এক প্রতিবাদের ভাষা। ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আত্মমর্যাদাকে তিনি তুলে ধরেছিলেন ইউরোপের দরবারেও।
১৯১১ সালের ১৩ অক্টোবর দার্জিলিঙে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে হিমালয়ের কোলে সমাধিস্থ করা হয়। আজও তাঁর সমাধিফলকে খোদাই করা আছে —“Here reposes Sister Nivedita, who gave her all to India.”(“এখানে ভগিনী নিবেদিতা বিশ্রাম নিচ্ছেন, যিনি ভারতকে তার সর্বস্ব দিয়েছিলেন।”)
ভগিনী নিবেদিতা শুধু এক নারী নন — তিনি এক আদর্শ, এক প্রেরণা, যিনি ভারতীয় নারীশক্তি ও মানবসেবার প্রতীক হয়ে আজও বেঁচে আছেন কোটি মানুষের শ্রদ্ধায়।

![]()

More Stories
ওড়ন ষষ্ঠীতে বস্ত্রদান ও সহমর্মিতার বার্তা—অগ্রহায়ণের শ্রীক্ষেত্রে মানবিকতার নতুন অধ্যায়
অসামাপ্ত রেলস্বপ্ন: বাগনান–আমতা–চাঁপাডাঙা প্রকল্প জমি–জটে স্থবির
জয়রামবাটির সিংহবাহিনী মন্দির — গ্রামবাংলার বিশ্বাসের এক অনন্য তীর্থ