সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: গোরু পাচার মামলায় আবারও জামিন নাকচ হল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। আসানসোল জেল থেকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় সায়গল হোসেনকে। দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আবার তাকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারক ।
এদিন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা যেকোনও শর্তে তার জামিনের আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, অনেক আগেই এই মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছে। তাহলে আবার তদন্ত কি হবে? আইন মতো এবার ট্রায়াল শুরু করা হোক। কিন্তু বারবার তদন্ত করা হচ্ছে, ডকুমেন্ট ট্যাম্পারিং করা ও প্রভাবশালীর তত্ত্ব খাড়া করে সিবিআই আমার মক্কলের জামিন আটকে দিচ্ছে। তদন্ত যদি এখনো বাকি, তাহলে চার্জশিট জমা দেওয়া হল কেন? যদি ৫০ বছর ধরে তদন্ত চলে, তাহলে কি আমার মক্কেল ৫০ বছর জেলে থাকবেন? এছাড়া সিবিআইয়ের মতো একটা এজেন্সির চোখের সামনে থেকে সে ডকুমেন্ট ট্যাম্পার করবে সেটা কিভাবে হয়?
আইনজীবী এদিন এজলাসে সওয়াল করে বলেন, ইডি দিল্লির বিশেষ আদালতে সায়গলকে প্রথমে নিজেদের হেপাজতে ও পরে আসানসোল জেলে এসে জেরা করার আবেদন করেছিল। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন। এর থেকে তো পরিষ্কার একটা ‘টার্গেটে’ তদন্ত করা হচ্ছে। আমার মক্কেল প্রায় ১০০ দিন ধরে হেপাজতে রয়েছেন। তাই তাকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার হোক।
কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার সায়গলের জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। এর জামিন হলে তদন্ত প্রভাবিত হবে। কেন না সায়গল যথেষ্ট প্রভাবশালী
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক