October 5, 2025

আসছেন না নাড্ডাও, ব্যাকফুটে বিজেপি

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: অমিত শাহর পর এবার জে পি নাড্ডা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। পরপর বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতার সভা বাতিল। আর তার ফলেই তোলপাড় আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার রাজনীতি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কার্যকর্তাদের আত্মবিশ্বাসে চির ধরতে শুরু করেছে। যদিও দলের একটি অংশের দাবি, সভার তারিখ শুধুমাত্র পিছিয়েছে। কিন্তু সভা হবেই। এখন হতো, না হয় দু’দিন পরে হবে। সর্বভারতীয় রাজনীতিবিদদের সভা করার থেকেও নিরাপত্তার বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি থাকে। আর তাই বৃহত্তর স্বার্থে তাঁরা সভা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। একটি সূত্রের খবর, ১৯ জানুয়ারি নদীয়ার বেথুয়াডহরিতে সভা করবেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপর খানাকুলে সভা করতে এলে বিকেল পার হয়ে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সভা করার পর অল্প আলোয় হেলিকপ্টারে ফিরে যাওয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাই নাকি সভা বাতিল করতে হয়েছে। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, মাত্র কয়েকদিন আগেই খানাকুলে সভা করে গেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। সেই সভায় নাকি দলের আশানুরূপ জনসমাগম হয়নি। আর তাই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি দলের উচ্চনেতৃত্ব। কারণ এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় সভাপতির সভা ফ্লপ শো-তে পরিণত হলে রাজ্যের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে খানাকুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা করতে আসার কথা ছিল ১৭ই জানুয়ারি। সেই দিন ঘোষণাও করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সভাও শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। সেক্ষেত্রে জানা গিয়েছিল, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকায় তিনি রাজ্যে আসতে পারছেন না। সেই ঘটনায় হতাশ হয়েছিলেন আরামবাগ মহকুমার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর তাঁদের সেই হতাশা দূর করতেই তড়িঘড়ি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার আসার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই পরপর দুই প্রথম সারির নেতার সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় দলের জেলা স্তরের নেতা থেকে সাধারণ কর্মী পর্যন্ত সকলেই হতাশ। সন্তোষজনক উত্তরও তাঁদের কাছে নেই। ফলে শাসক তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলগুলিও বিদ্রুপ করতে ছাড়ছে না। কিন্তু বিজেপি নেতাকর্মীদের এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছে না। আবার কবে অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডার মত নেতাদের সভার দিন ঘোষণা হয় সেদিকেই তাঁদের তাকিয়ে থাকতে হবে।

Loading