সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বোলপুর শান্তিনিকেতন মানেই একটা সময় ছিল পৌষ মেলা, বসন্তোৎসব। সামনের সপ্তাহেই বসন্তোৎসব। কিন্তু এবারও শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব দেখার সুযোগ পাবেন না পর্যটকরা। আগেই উপাচার্য নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছেন। তাঁরা বেড়িয়ে আসুন বীরভূমের এই অফবিট জায়গা থেকে।করোনার কারণে প্রথমে বন্ধ করা হয়েছিল বসন্তোৎসব। গতবছর বসন্তোৎসব হলেও সেখানে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কারণটা ছিল সেই করোনা। এবার অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো বসন্তোৎসবে এবার ছাড় পাওয়া যাবে। কিন্তু হল না। উপাচার্য সোজা জানিয়ে দিয়েছেন বসন্তোৎসব হবে কিন্তু কেবল মাত্র পড়ুয়াদের নিয়ে। পর্যটকরা সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে মন খারাপ হয় পর্যটকদের।
শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব না দেখতে পাওয়ার শোক ভুলিয়ে দিতে পারে হেতমপুর রাজবাড়ি। ইলেমবাজারের জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয় হেতমপুর রাজবাড়ি। আসলে এই হেতমপুরের নাম ছিল হাতিমপুর। রাজনগরের রাজা বদিউজ্জমানের সেনাপতি ছিলেন হাতিম খাঁ। তিনি শাল নদীর তীরে এই হেতমপুরের রাজবাড়িটি তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর জায়গায় হেতমপুরের রাজবাড়ির উত্তরাধিকার সূত্রে গিয়েছিল হাফেজ খাঁর কাছে।
এই হাফেজ খাঁ ও শেরিনা বিবিকে ঘিরে এক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে এখানে। শরিনা বেগম আসলে ঔরঙ্গজেবের কন্যা। তিনি এক সিপাহসালারের প্রেমে পড়ে পালিয়ে এসেছিলেন হেতমপুরে। সেখানে হাতিম খাঁকে তাঁরা হাফেজ খাঁ এবং শেরিনা বিবি নামে পরিচয় দেন। হাতিম খাঁ তাঁদের সন্তান ভেবে নিয়ে তাঁর রাজত্বের দায়িত্ব দিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতে। বর্গিদের সাহায্য নিয়ে হেতমপুরে আক্রমণ করেন শরিনা বেগমের পাণিগ্রাহী। যুদ্ধে মারা যান হাফেজ খাঁ। আর আত্মঘাতী হন শেরিনা বেগম।
খুব একটা বেশি সময় লাগে না হেতমপুর রাজবাড়ি থেকে। বোলপুর থেকে ইলেমবাজারের জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয় হেতমপুরে। এখন বর্ধিষ্ণু গ্রাম সেটি। অনেক জায়গায় রয়েছে যেখানে প্রায় জীর্ণ হয়ে গিয়েছে ইতিহাসের অনেক নিদর্শণ। তবে হেতম পুর রাজবাড়ি ঘুরে দেখতে অসুবিধা হবে না। গাড়িতে করেই অনায়াসে বেড়িয়ে আসা যায় এই হেতমপুর রাজবাড়ি থেকে।
More Stories
মিরিকের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব
উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয়ে ত্রাণে বিজেপি, নীরব তৃণমূল! মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মাঝেই রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য্যের উত্তরবঙ্গ সফর
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন