সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিষধর বা নির্বিষ – যাইহোক না কেন সাপ দেখলেই আমরা তাকে মেরে ফেলতে উদ্যত হই। এতে যে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা তখন মাথায় রাখি না। একটাই নীতি – শত্রুর শেষ রাখতে নাই। কিন্তু উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরের ‘প্রকৃতিকন্যা’, এলাকার মানুষের কাছে এই নামেই পরিচিত। অদিতি গাইনের ভাবনা অন্যরকম। তার লক্ষ্য ‘লিভ এণ্ড লেট লিভ’ নীতির যথাযথ অনুসরণ করা যায়। যার আবার নিদর্শন পাওয়া গ্যালো গত ২২ শে এপ্রিল।সন্ধ্যের সময় অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে অদিতির কাছে। চমকে ওঠে সে। ফোনটা রিসিভ করে জানতে পারে দত্তপুকুরের জয়পুল থেকে। সুমন হাজরা নামে এক ব্যক্তি ফোন করেন। কারণ তার বাড়ির উঠানে নাকি একটা চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে পাওয়া গেছে যদিও সেই মুহূর্তে সেটি আর দ্যাখা যাচ্ছে না। পরে উঠানের এক কোণে আবার সাপটিকে দেখতে পাওয়া গেলে মাঝরাতে অদিতির কাছে সেই নাম্বার থেকে ফোন আসে। সাত কিলোমিটারের বেশি দূরে জায়গাটা অবস্থিত হওয়ার জন্য সেই মুহূর্তে সেখানে যাওয়াটা সম্ভব ছিলনা। সাপটাকে অযথা না খুঁচিয়ে বা বিরক্ত না করার পরামর্শ দিয়ে তাদের সাপটির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেয় সে।সাত সকালেই সাপ ধরার ‘হুক’ নিয়ে সুমন বাবুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে অদিতি। গিয়ে দেখতে পায় একটা বিশাল আকৃতির চন্দ্রবোড়া সাপ উঠানের এক কোণে রয়েছে। ইতিমধ্যে তার আসার খবর পেয়ে সেখানে ভিড় জমে যায়। প্রত্যেককে সে অযথা আতঙ্কিত হতে নিষেধ করে। তারপর ধীরে ধীরে সে হুকের সাহায্যে সাপটাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্থানীয় বনদপ্তরের দু’জন কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের হাতেই অদিতি সাপটি তুলে দেয়। অবাক বিষ্ময়ে মানুষ তার সাপ উদ্ধারের দৃশ্য দেখতে থাকে। মাতৃস্থানীয়া মহিলারা দু’হাত তুলে অদিতিকে আশীর্বাদ করে।
More Stories
মিরিকের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব
উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয়ে ত্রাণে বিজেপি, নীরব তৃণমূল! মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মাঝেই রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য্যের উত্তরবঙ্গ সফর
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন