October 5, 2025

আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, বামভোট এবারও বিজেপিতেই

 সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত কেউই অপেক্ষা করতে রাজি নয়। প্রাথমিক স্তরে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু হয়ে গেছে। দলের ভিতরে ভিতরে চলছে কাটাছেঁড়ার পালা। জানা গেছে, বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভা ভিত্তিক প্রার্থী হওয়ার জন্য নাম চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে অসংখ্য নাম জমা পড়েছে বলে বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দলের মধ্যেই এখন জল্পনা চলছে কার ভাগ্যে প্রার্থী পদের শিকে ছিঁড়তে পারে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিক যোগ্য ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার দাবি রাখেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ নিজেই। এছাড়া রয়েছেন মধুসূদন বাগ,  তপন রায়, গণেশ চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ কারক, সুব্রত রানা প্রমুখ। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। তাঁরা সকলেই আরএসএসের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের মধ্যে পুরশুড়ার দু’জন নেতাও রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অতীত ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা গেছে প্রতিটি এলাকাতে যতই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী থাকুন না কেন বিজেপিতে আরএসএস ঘনিষ্ঠরাই অগ্রাধিকার পেয়েছেন। এক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটলেও অস্বাভাবিক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, বিজেপি এখন জলজয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার ছটি আসনেই বিজেপি এখন জয় দেখছে। তাঁদের দাবি, প্রতিটি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে তাঁদেরকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তার ওপর গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গোঘাট এবং পুরশুড়া আসনে তাঁরা অনেক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। খানাকুল এবং আরামবাগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এমনিতেই এই দুটি আসনে বিজেপির পক্ষে হাওয়া রয়েছে। তার ওপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উপরি পাওনা। ফলে ওই দুই আসনে তৃণমূলের ভরাডুবি ঘটবে বলে বিজেপির জোর দাবি। এছাড়াও বিজেপির দাবি, যতই বাম-কংগ্রেস জোট হোক বামপন্থী ভোটাররা এবারও বিজেপিকেই ভোট দেবেন। কারণ তৃণমূল আসার পর আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের ওপর যেভাবে স্থানীয়ভাবে অত্যাচার হয়েছে তা তাঁরা ভোলেননি। তাই তাঁরা সবার আগে চান তৃণমূলের বিদায়, তারপর তাঁরা চান সিপিএমের প্রতিষ্ঠা। বিশেষ করে খানাকুল এলাকায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই মানসিকতা টের পাওয়া গেছে। তবে ঘটনা যাই হোক, বিজেপি এখন জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। তাদের সাফ কথা,  জেলার সবকটি আসনেই বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। এই জেলা থেকে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। তবে তাঁদের দাবি কতটা সত্য আর কতটা ফাঁকা আওয়াজ তার জন্য নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

Loading