সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: দেখলে বোঝা দায় পুরুষ না মহিলা। আধুনিক ইন্টারনেটের যুগেও গ্রামীণ যাত্রাপালায় পুরুষ অভিনেতারা হুবুহু মেয়ে সেজে অভিনয় করছেন। আর তাঁদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকগণ। সকলে হাততালিও দিচ্ছেন। আবার মেয়েদের কান্নার অভিনয় দেখে দর্শকদের চোখে জল দেখা যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় পূর্বস্থলী রেলস্টেশন লাগোয়া আনন্দ কলোনিতে শুরু হয়েছে সর্বজনীন মনসা পুজো। আর সেই পুজো উপলক্ষেই আয়োজন হয়েছে ‘মনসা মঙ্গল’ যাত্রাপালা গানের আসর। আর সেই গ্রামীণ যাত্রাপালায় দেখা গেল ছেলেরা হুবুহু মেয়ে সেজে অভিনয় করছেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে যাত্রাগানের আসর। আধুনিক যুগেও এই ধরনের যাত্রাপালা দেখে দর্শকরাও খুশি। মোবাইলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে যুবক যুবতীরাও ভিড় করেছেন এই গ্রামীণ যাত্রাপালা দেখতে।যদিও এই ধরনের যাত্রাপালায় ছেলে অভিনেতারা মেয়ে সেজে অভিনয় করতে কোনও রকম সংকোচ বোধ করেন না। শুক্রবার যাত্রা শেষে তাঁদের দাবি, যাত্রায় মহিলা অভিনেত্রীদের আগ্রহ কম দেখা যায়। যদিও প্রাচীন কালে যাত্রা শুরুর সময় থেকে পুরুষরাই মহিলা সেজে অভিনয় করতেন। এতে সমস্যা কিছুই হত না। আর বর্তমানেও কিছুই সমস্যা হয় না। মানুষকে আনন্দ দেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য বলেই জানান তাঁরা।
গত ১৭ বছর আগে স্থানীয় নিখিল পালের বাড়িতে পারিবারিক মনসা পুজোর আয়োজন হয়েছিল। সেই পুজোয় সর্ব প্রথম পূর্বস্থলীতে পরিবেশিত হয় ‘মনসা মঙ্গল’ যাত্রাপালা গান। প্রতিবেশীরাা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। পরের বছর সেই পারিবারিক মনসা পুজোই সর্বজনীনের পুজোর আকার নেয়। সকলের আর্থিক অনুদানে পুজো এবং ৩ দিনব্যাপী যাত্রাগানের আসর বসে। আর তা দেখতেই উপচে পড়েছে দর্শকদের ভিড়।
![]()

More Stories
পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের ডাক ব্রিগেডে, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম–ভিভিপ্যাটের এফএলসি শুরু রাজ্যে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
হাতুড়ে ডাক্তারি বনাম পাশ করা ডাক্তার—অরাজকতার জঞ্জালে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা