সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: এ বার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে প্রয়াত শিল্পীদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে নতুন গান সৃষ্টি করেছেন এ আর রহমান। উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে ‘মিউজ়িক মায়েস্ত্রো’র এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই মুহূর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তিনি বিশেষ একটা আমল দিতে নারাজ। বরং পুরো বিষয়টাকেই তিনি ‘সময়ের ডাক’ হিসেবে উল্লেখ করতে চাইলেন। বললেন, ”কম্পিউটার আসার আগে এক দল মানুষ হইচই করেছিল। কিন্তু কম্পিউটার তো আমাদের ক্ষতি করেনি। প্রয়াত শিল্পীদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেছেন মানে তো তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। আমার মনে হয় না এতে কোনও সমস্যা হবে। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে এগুলো তো হবেই। আমাদের তো সময় হয়ে এল। আগামী দিনে যাঁরা সঙ্গীত জগতে কাজ করতে আসবেন, তাঁদের একটু-আধটু অসুবিধা হলেও হতে পারে।” তবে শুধু সঙ্গীত জগত্ নয়, বিশ্বব্যাপী ‘এআই’ বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে অবগত নচিকেতা। বললেন, ”এআই-এর বাড়বাড়ন্তে কত মানুষের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে ভাবলে খারাপ লাগে। এআই-কে ঠেকাতে কিছুই হয়তো আমরা করতে পারব না। রহমানের ‘কীর্তি’ দেখে এখনই খুব বেশি ভয় পাওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়। তাঁর সহজ যুক্তি, ”কী হবে আর কোনটা হবে না, সেটা নির্ধারণ করার আমরা কেউ নই। আধুনিকতা এবং সমাজ যদি প্রয়াত শিল্পীর কণ্ঠস্বর শুনতে চায়, তা হলে সেটাই হবে। অনুপমের কথায়, ”এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি বদলে ফেলা হচ্ছে। সমাজমাধ্যম এবং হোয়াট্সঅ্যাপে তা ছড়িয়ে দিয়ে অগণিত মানুষকে প্রভাবিত করা সম্ভব! সেটা তো সঙ্গীতের তুলনায় আরও মারাত্মক। রহমান তাঁর কাজটি প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, দুই প্রয়াত শিল্পী বাম্বা বাক্য ও শাহুল হামিদের দুই পরিবারের তরফে তাঁদের কণ্ঠস্বর ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গানটির জন্য দুই শিল্পীর পরিবারকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনুমতি এবং পারিশ্রমিক— এই দুটো বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চাইলেন সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। তাঁর ধারণা, ”শুরুতে বিষয়টা সহজ হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে কণ্ঠস্বর ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবারের অনুমতি পাওয়া যাবে না। আর পাওয়া গেলেও সেই পারিশ্রমিকটা এতটাই বেশি হবে যে এআই-এর বিষয়টা কোনও বাঁধাধরা নিয়ম হয়ে উঠবে না।
More Stories
স্বামীর রচনা
ব্যাঙ্কে লুঙ্গি পরে যাবেন না
অভিনেতা পাহাড়ি সান্যাল