সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে বরফ গলছে অবিরত। জলস্তর বাড়ছে। পৃথিবীর জন্য যা খুব নিরাপদ নয়। নীল গ্রহে দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমত আতঙ্কিত গবেষকরা। জলে কত পরিমান প্লাস্টিক প্রতিদিন মেশে, তা ভেবে দেখুন একবার। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্লাস্টিক ব্য়বহার বহুগুণ বেড়েছে। অনুমান করা হয়েছে যে ১৯৫০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের উত্পাদন ১৭৪ গুণ বেড়েছে এবং এমনটাও মনে করা হচ্ছে যে ২০৪০ সাল নাগাদ তা দ্বিগুণ হবে। প্লাস্টিকদূষণের ফলে প্রতি বছর ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখি এবং ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিশ্বে এ ধরনের প্রায় ৪০০টি জোন তৈরি হয়েছে। এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৮ থেকে ১২ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। যেখানে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের পৃষ্ঠে ১৫ থেকে ৫১ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিকের টুকরো ভাসছে। সমুদ্রে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ফেলা দেশগুলির মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে ফিলিপিনস। এই দেশটি ৩৫৬,৩৭১ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলে দেয়। যেখানে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা প্রতি বছর সমুদ্রে ১২৬,৫১৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে। আর তিন নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া। চার নম্বরে রয়েছে চিন। যেখানে ইন্দোনেশিয়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে, যা প্রতি বছর ৫৬,৩৩৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলে দেয়। বর্তমানে সমুদ্রে ২৫ ট্রিলিয়ন মাইক্রো ও ম্যাক্রো প্লাস্টিকের কণা জমা হয়েছে। প্রতি বর্গমাইল সমুদ্রে ৪৮ হাজার প্লাস্টিক জমা হয়েছে ইতিমধ্য়েই। সমুদ্রে জমে থাকা প্লাস্টিকের মোট ওজন ২ লাখ ৬৯ হাজার টন। প্রতিদিন ৮০ লাখ প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এভাবে জমতে জমতে বড় বড় মহাসাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য জমাকৃত এলাকা (প্যাচ) তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্লাস্টিকের এই ব্যবহার ৮০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা যেতে পারে – যদি প্লাস্টিক উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনা যায়।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর