October 5, 2025

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হার্টের বাইপাস সার্জারি করিয়ে বাড়ি ফিরলেন চাষি, সুস্থতার খবর নিতে বাড়িতে বিধায়ক ও পৌর প্রশাসক

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে একরকম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন এক প্রান্তিক চাষি। একেবারে বিনা খরচায় হার্টের বাইপাস সার্জারি হল। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কৃতজ্ঞতায় দু’হাত তুলে এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি আরামবাগের চাঁদুর উত্তরপাড়ার। ওই ব্যক্তির নাম কাজী সাইফুল ইসলাম। পেশায় চাষি। আড়াই বিঘা জমিতে যে চাষবাস হয় তা থেকেই তাঁর সংসার চলত। সাইফুলবাবু জানান, বছর চারেক ধরেই তাঁর বুকের ব্যথার সমস্যা ছিল। মাঝে মাঝে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেতেন। এভাবেই চলে যাচ্ছিল। কিন্তু মাস দেড়েক আগে হঠাৎই খুব বাড়াবাড়ি হয়। তখন আরামবাগের চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা বলেন। তিনি বর্ধমানের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষায় ধরা পড়ে হার্টের তিনটি জায়গাতে ব্লক হয়ে রয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। এরপর তিনি কলকাতার চিকিৎসককে দেখান। তাঁরা দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। এদিকে দুয়ারে সরকার-এ ফরম ফিলাপ করা হলেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তখন হয়নি। বিষয়টি তিনি জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজিজুল হোসেনকে। তিনি জরুরী ভিত্তিতে সাইফুলবাবুর পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির ব্যবস্থা করে দেন। এরপর তড়িঘড়ি কলকাতার আমরি হাসপাতালে  ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এর জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে এক টাকাও খরচ লাগবে না। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়।  সোমবার তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তাই বুধবার বাড়িতে গিয়ে  তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ও পৌরপ্রশাসক স্বপন নন্দী। সাইফুলবাবু জানালেন, এত বড় অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁর কোন টাকা লাগেনি ভাবতেই পারছেন না। এখন তিনি বেশ ভালই আছেন। তাঁর কোন সমস্যা নেই। তবে চিকিৎসকরা তিন মাস বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সাইফুলবাবু বলেন,  শুধুমাত্র চাষবাস করে এত টাকা খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমার কত বড় উপকারে লাগল তা আমরাই বুঝতে পারছি। দিদিকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। তিনি যাতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসতে পারেন তার জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আরামবাগের তৃণমূল নেতা ও প্রশাসনের লোকজনদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। এ বিষয়ে পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি এই কার্ড নিয়ে শুধু অপপ্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু এই কার্ডে যে কত বড় কাজ হচ্ছে যার সমস্যা আছে তিনিই বুঝতে পারছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সবসময়ই গরিব মানুষদের পাশে ছিলেন আছেন থাকবেন। তাই সাধারণ মানুষ তাঁকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে  চান।

Loading