October 5, 2025

সিআইডি-কে হস্তান্তর করতে হবে সিবিআই-এর কাছে শাহজাহানকে, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : বিকেল সওয়া ৪টের মধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধৃত শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতে হবে সিআইডিকে রায় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই রায়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছিল রাজ্য। তাই আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইডির তরফে আইনজীবী বিরাজ ত্রিবেদী বুধবার আদালতে বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলার শুনানির আর্জি জানানো হলেও শীর্ষ আদালত তাতে সাড়া দেয়নি। বুধবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সংশ্লিষ্ট আবেদন শুনতে পারে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাই প্রয়োজনে রাজ্য সেখানে আবেদন করুক। আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত।অন্য দিকে, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল ধৃত শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার। সময় বেঁধে দেওয়া হয় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে গত ৫ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের জন্য একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিকেলেই শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। তদন্তের কাগজপত্রও তাঁদের হাতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে না-নিয়েই ভবানী ভবন ছাড়তে হয় তাঁদের। সিআইডি যুক্তি দেয় যে হেতু রাজ্য সরকার হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে, তাই মামলাটি বিচারাধীন। গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিন ইডি আধিকারিককে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর ন্যাজাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে। পরে ইডিও একটি অভিযোগ জানায় ওই থানায়। অন্য দিকে, শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকর ইডির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। এর মধ্যে ইডির দায়ের করা মামলা এবং পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করা মামলার মধ্যে পরস্পরবিরোধিতা পায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশ যৌথ ভাবে সিট গঠন করে এই মামলার তদন্ত করবে। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি। রাজ্যও ওই নির্দেশের বিরোধিতা করে মামলা করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিট গঠন এবং তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ঘটনাক্রমে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মিনাখা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

Loading