সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: নিজেকে সুস্থ রাখতে খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মুশকিল। যাঁদের খাই খাই ভাব বেশি, তাদের ব্যপারটা কিন্তু আলাদা। কোনো কোনো সময় একটা নিদিষ্ট খাবার খাওয়ার জন্য তীব্র যে ইচ্ছে হয়, এটাইকেই বলা হয় ফুড ক্রেভিং। অনেকেরই ঘন ঘন নানা ধরনের খাবারের ক্রেভিং হয় ফলে ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়া হয়ে যায়। এতেকরে ওজন বৃদ্ধি হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কারণ ক্রেভিং এর ফলে খাওয়া খাবার দেহের জন্য প্রয়োজনীয় নয়, তাই সেই খাবার চর্বি হয়ে শরীরে জমতে থাকে।
ক্রেভিং কন্ট্রোলে রাখার কিছু উপায় —
- অনেক ক্ষেত্রে হরমোন দায়ী। ক্রেভিং অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কোনও হরমোনাল ইস্যু আছে কিনা। পিসিওএস বা ডায়াবেটিস থাকলে তা কন্ট্রোলের জন্য হেলথি লাইফস্টাইল অনুসরণ করতে হবে।
- মানসিক চাপ বাড়লে গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হয়। তার স্থায়িত্ব থাকে ৩-৫ মিনিট। মানসিক চাপ কমাতে যোগা বা মেডিটেশন করুন। মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, মন অস্থির ও অশান্ত থাকলে বেশি খাবার প্রবনতা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।
- অনেকেরই কোনও কারণ ছাড়াই সারাক্ষণ কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে। তখন বুঝতে হবে এটি পুরোপুরি মানসিক। যেকোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা সাধারণত ৩০ থেকে ২০ মিনিট স্থায়ী হয়, তাই খাবার খোঁজা শুরু না করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে কমে যাবে।
- বর্তমানে সমাজে অনেকেই অকারণে রাতে জাগতে পছন্দ করেন, যা একেবারেই ভুল। রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করা আবশ্যিক। কারণ খাবারের ক্রেভিং গভীর রাতেই হয়ে থাকে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। কাজের জন্য রাত জাগতে হলে ঘন ঘন জল পান করা উচিত।
More Stories
আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কখন আতঙ্কিত, জেনে নিন
থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
সস্তা খাদ্যের ফাঁদে স্বাস্থ্যব্যবসা: ভোক্তার অসচেতনতা থেকে কর্পোরেটের মুনাফা