রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে ৷ শুধুমাত্র পর্যটনের শ্রীবৃদ্ধি নয় সাথে রয়েছে Geopolitical গুরুত্বও।
যদিও সেতুটি এখনও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি ৷ তবে রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে বাগরাকোটে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটক, ব্লগার, বাইকার এবং নতুন প্রজন্মের একাধিক ইনফ্লুয়েন্সাররা। শুধু সেতু নয়, সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে নির্মীয়মাণ রাস্তাও পর্যটকদের আকর্ষণের আর এক কেন্দ্রবিন্দু ।
বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে ৷ বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন 717 নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা । আগামিদিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে ।
শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন ৷ তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় । এর কারণ তিস্তার ভাঙন ও ধস ৷ এতদিন ওটি ছিল সোনাবাহিনীর পরিবহণের একমাত্র রাস্তা ।
সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায় । তাই 10 নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । সেই দিক থেকে বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে এবার থেকে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে । সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা থাকবে ৷
সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে প্রথম 18 কিলোমিটারের মধ্যে 12-14 কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে । প্রথম 18 কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা । বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব 4-5 কিলোমিটার । ছয় বছর ধরে 45 মিস্ত্রী ও শ্রমিক মিলে 350 জন কাজ করে চলেছেন এই সেতু তৈরির । দু’টি ভাগে সেতু রয়েছে ৷ একটির দৈর্ঘ্য 900 মিটার ও অপরটির 400 ও 500 মিটার ৷

More Stories
রাজস্থানের দীগ জেলায় অবস্থিত জাটদের দুর্গ, যেখানে বীররা আহমেদ শাহ আবদালির আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল
গরিব মানুষের কাছে, নতুন সাইকেলও BMW গাড়ির চেয়ে কিছু কম নয়
গ্রামের এই সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি দেখতে কেমন লাগছে?