সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিডিও অফিসগুলিকে। অফিসের দেওয়াল গুলিতে বিভিন্ন রকমের সচেতনতামূলক লেখা, এছাড়াও আছে বিভিন্ন আর্টের কাজ। উঠে এসেছে বিখ্যাত মধুবনী আর্ট, সহজ পাঠের চিত্র। সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান, রয়েছে ছোটদের জন্য পার্ক, বিভিন্ন মনিষী, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি। এক মনোরম পরিবেশ বিডিও অফিস জুড়ে। এমনভাবেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে যারা হঠাৎ করে বিডিও অফিসে যাবেন তাদের কিছুক্ষণের জন্য মনে হতে পারে কোন এক সাজানো-গোছানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রিসোর্ট এ এসেছেন। এই সৌন্দর্যায়নে খুশি অনেকেই। অফিস জুড়ে মনোরম পরিবেশ। কিন্তু তার মধ্যেও এসেছে সমালোচনা যে এত সাধারণ মানুষের অর্থ খরচ করে অফিসগুলিকে সাজানোর কি দরকার? অফিসগুলিতে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা হোক। এত সুন্দর ভাবে সাজানো হচ্ছে কিন্তু অফিসের ভেতর সাধারণ মানুষের জন্য কাজ কি সুন্দর ভাবে হচ্ছে? যে অর্থ খরচ হচ্ছে এতে করে কি আরো কিছু গরিব দুস্থ জনসাধারণকে সাহায্য করা যেত না? এগুলো কি রক্ষণাবেক্ষণ করতে যে খরচা হবে সেই অর্থ আসবে কোথা থেকে? এই অর্থ থেকে এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি এবং প্রাইমারি স্কুল গুলির কে উন্নতি করা যেত না? সাংসদ মিতালী বাগ সংসদে প্রশ্ন রেখেছেন শিশুদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের খাবারের বরাদ্দ বাড়ানো হোক। তাহলে এইভাবে অফিসগুলো সাজাতে এত অর্থ অপচয় কেন? উঠছে প্রশ্ন। বকুলতলা থেকে বিডিও অফিস যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ সেদিকে নজর নেই প্রশাসনের।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য